বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমানে সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ, দর্শক টানতে নায়িকাদের খোলামেলা পোশাক, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অবাধ ব্যবহার চলে। কিছু কিছু সময়ে বিষয়টা এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে ওয়েব সিরিজেও এখন সেন্সরের নজরদারির দাবি উঠছে। তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে বলিউড (Bollywood) হালে সাবালক হয়েছে, তাহলে কিন্তু খুব বড় ভুল করবেন।
ইদানিং সিনেমা, সিরিজে যৌন দৃশ্যের রমরমা থাকলেও এর সূত্রপাত হয়ে গিয়েছিল আশির দশকের শেষের দিকেই। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক এমন ছবি রয়েছে যা বলে বলে গোল দিতে পারবে হালের ওয়েব সিরিজকে। তবে ফারাক একটা জায়গাতেই। সে সময়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের বাণিজ্যিক কম, শৈল্পিক দিক ছিল বেশি। কিন্তু তাতেও যে বিতর্কের মুখে ছবিগুলি পড়েছিল তা নিয়ে আজো চর্চা হয়। এই প্রতিবেদনে রইল এমনি কিছু বিতর্কিত সিনেমার হদিশ-
সত্যম শিবম সুন্দরম– ওই সময়ে দাঁড়িয়ে জিনাত আমান যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা একদিকে যেমন দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিল, তেমনি বিতর্কের পারদ চড়েছিল তুঙ্গে। ভেজা স্বচ্ছ শাড়িতে জিনাতের নাচ আজো বলিউডের বিতর্কিত দৃশ্যগুলির মধ্যে অন্যতম।
কামসূত্র– ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি শৈল্পিক দিক থেকে যতটা প্রশংসনীয়, যৌন দৃশ্যের জন্য ততটাই বিতর্কিত। এই ছবির হাত ধরেই ইরোটিকার জগতে পা রাখে বলিউড।
ফায়ার– একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত ফায়ার ছবিটি প্রথম বার সমলিঙ্গে প্রেমকাহিনি তুলে ধরেছিল বলিউডে। বলা বাহুল্য, সে সময়ে এতটা বোল্ড বিষয়বস্তু গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিলেন না দর্শকরা। বিতর্কিত তকমা লেগে গেলেও শাবানা আজমি এবং নন্দিতা দাসের অভিনয় ক্লাসিক করে তুলেছে এই ছবিকে।
নিঃশব্দ– ৬০ বছরের এক পুরুষের সঙ্গে ১৮ বছরের তরুণীর প্রেম দেখানো হয়েছিল এই ছবিতে। অমিতাভ বচ্চন এবং জিয়া খানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলি দর্শকদের তীব্র আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকি এলাহাবাদে নিষিদ্ধও করে দেওয়া হয়েছিল এই ছবি।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা– শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অবতারণা নয়, ধর্মাবেগে আঘাত লাগার মতো অভিযোগও উঠেছিল এই ছবির বিরুদ্ধে। বিতর্ক এতটাই বেড়েছিল যে ছবির মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছিল এক বছর।
পার্চড– বলিউডের সর্বকালীন বিতর্কিত ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। রাধিকা আপ্টে অভিনীত ছবিটি নগ্নতা এবং যৌনতা প্রদর্শনের অভিযোগে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল।