বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভোজনরসিক বাঙালির সাথে মাছের রসায়ন হার মানাবে রোমিও-জুলিয়েট কিংবা উত্তম-সুচিত্রা জুটিকেও। গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে নানারকম সুস্বাদু মাছের পদ পেলে বাঙালির আর কিছু চাইনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবার এমন কিছু মাছ (Fish) নিয়ে সতর্ক করে চলেছেন যা খাওয়া আদতে বিষপানের সমান।
মাছ (Fish) নিয়ে সাবধান
চিকিৎসকদের পরামর্শ, সুস্থ থাকতে হলে পাত থেকে বাদ দিতে হবে এই চারটি মাছ (Fish)। ভাজা হোক কিংবা তরকারি, এই মাছগুলিকে মেনু লিস্ট থেকে ব্রাত্য রাখার কথাই বলে চলেছেন একদল চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাছগুলি থেকে হতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন এই মাছগুলি।
আরও পড়ুন : এই অভিনেত্রীই সায়ন্তর চতুর্থ “শিকার”! ভাইরাল ভিডিওতে বিতর্ক বাড়তেই বিষ্ফোরক নায়িকা
• তেলাপিয়া : বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন তেলাপিয়া মাছে থাকে এক ধরনের ক্ষতিকর ফ্যাট। এই ফ্যাট মানব শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরল বা ব্যাড কোলেস্টরল বাড়িয়ে তোলে। এমনকি যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির মতো রোগ রয়েছে তাদেরও খাওয়া উচিত নয় তেলাপিয়া মাছ।
• জিওল মাছ : রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া রোগীদের চিকিৎসকেরা জিওল মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আজকাল বিভিন্ন পুকুর, ডোবায় চাষ করা হচ্ছে এই মাছের। দূষিত জলের জিওল মাছ খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব ও লিভারের সমস্যা।
• মাগুর মাছ : মাগুর মাছকে দ্রুত আকারে বৃদ্ধি করতে মাছ চাষীরা অনেক সময় মাছের উপর মারাত্মক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে থাকেন। এই মাছ খেলে শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক। তবে বাজারে ছোট আকারের মাগুর মাছ পেলে অবশ্যই কিনতে পারেন। হার্ট ও লিভার সুস্থ রাখতে মাগুর মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• পাঙ্গাস মাছ : রাসায়নিক ইনজেকশন প্রয়োগ করে আকারে ও সংখ্যায় বৃদ্ধি করা হয় পাঙ্গাস মাছ। এই ধরনের রাসায়নিক থেকে হতে পারে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও। তাই পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার আগে অবশ্যই দুবার ভাবুন।