বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের আগে চর্চায় ‘নিবিড় সংশোধনী অভিযান’ বা SIR। ভোটের আগে কার্যত ছেঁকে ফেলা হচ্ছে ভোটার (India) তালিকা। বিহারে এই অভিযানে মোট ৫১ লক্ষ ‘ভুতুড়ে’ ভোটারের সন্ধান মিলেছে। তাদের মধ্যে ১৮ লক্ষ ভোটার মৃত, ২৬ লক্ষ ভোটার আর ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাই নন। অন্যদিকে ৭ লক্ষ ভোটারের নাম দু জায়গায় নথিভুক্ত করা। এমতাবস্থায় বাংলাতেও ভোটার তালিকা সংশোধনের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। আর তেমনটা হলে ভোটার, আধার বা রেশন কোনও নথিপত্রই নাগরিকত্বের (India) প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভোটার সংশোধনে নাগরিকত্বের (India) প্রমাণ দিতে জরুরি কোন নথি?
উল্লেখ্য, বিহারে সংশোধন অভিযানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কিছু গোষ্ঠী। পালটা হলফনামা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটার, আধার এবং রেশন কার্ড এই তিনটির কোনোটিকেই নাগরিকত্বের (India) প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে না। সেক্ষেত্রে ঠিক কোন কোন নথি হাতের কাছে রাখতে হবে? সময় থাকতেই জেনে নিন।
প্রয়োজন পড়বে এই নথিগুলির: ১. যেকোনও পরিচয়পত্র বা কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পেনশন হোল্ডার হলে সেই সংক্রান্ত নথি। ২. যথাযথ সংস্থার দ্বারা ইস্যু করা বার্থ সার্টিফিকেট। ৩. সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার যেকোনও পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র যেটা ১ লা জুলাই ১৯৮৭ এর আগে ইস্যু করা হয়েছে। ৪. মাধ্যমিকের বোর্ড সার্টিফিকেট বা সরকার স্বীকৃত বোর্ড কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যু করা কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৫. যথাযথ রাষ্ট্রীয় (India) সংস্থার ইস্যু করা স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র। ৬. যথাযথ ইস্যু করা তফসিলি জাতি, উপজাতি বা অন্য জাতিগত শংসাপত্র। ৭. সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের পরিবার নথিবদ্ধকরণ। ৮. সরকারের ইস্যু করা জমি বা বাড়ির শংসাপত্র এবং ৯. পাসপোর্ট।
আরও পড়ুন : কথা রাখল ভারত! বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রের
কী বলছে কমিশনের নির্দেশিকা: যদিও এখানেই বিষয়টি মিটছে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালের ১ লা জুলাইয়ের আগে জন্মগ্রহণ করলে এর মধ্যে একটি নথি থাকলেই চলবে যা জন্মস্থান এবং জন্মক্ষণকে প্রমাণ করবে। যারা ১৯৮৭ এর ১ লা জুলাই থেকে ২ রা ডিসেম্বর ২০০৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের প্রয়োজন দুটি নথি। প্রথমটি নিজের জন্মস্থান (India) এবং জন্মক্ষণকে প্রমাণ করার জন্য এবং দ্বিতীয়টি বাবা মায়ের জন্মস্থান এবং জন্মক্ষণকে প্রমাণ করার জন্য। ২০০৪ এর ২ রা ডিসেম্বরের পরে জন্মালে প্রয়োজন ৪ টি নথি। প্রথমটি নিজের জন্মস্থান এবং জন্মক্ষণকে প্রমাণ করার জন্য, দ্বিতীয়টি বাবার এবং তৃতীয়টি মায়ের জন্মস্থান এবং জন্মক্ষণকে প্রমাণ করার জন্য। এছাড়াও বাবা মায়ের মধ্যে কেউ একজন ভারতীয় (India) না হলে সন্তানের জন্ম সময়ের সময় তাঁর এক কপি বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা লাগবে।
আরও পড়ুন : বেড়েই চলেছে খাই, মাত্র ৩ মাসের সঞ্চালনার জন্য বিগ বস থেকে কত টাকা নিচ্ছেন সলমন জানেন?
উল্লেখ্য, সংশোধনের আবেদনের সময় একটি হলফনামার সঙ্গে প্রয়োজন মতো নথি জুড়ে জমা দিতে হবে। সেখানে স্বতঃপ্রণোদিত ঘোষণাপত্র জমা করতে হবে এই বলে যে, আপনি অন্য কোনও দেশের নাগরিক নন বা অন্য ক্ষেত্রের ভোটার নন।