মমতার প্রতিশ্রুতি মতো ঢোকেনি ১ লক্ষ ১০ হাজার! দুর্গাপুজোর একমাস পরেও অনুদান থেকে ‘ব্রাত্য’ রাজ্যের ৮ ক্লাব

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোর অনুদান হিসেবে রাজ্যজুড়ে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের তুলনায় এবছর একলাফে ২৫ হাজার টাকা বেড়েছিল অনুদানের অঙ্ক। দুর্গাপুজোর পর একে একে কেটে গিয়েছে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। কিন্তু এখনও শারদীয়ার অনুদান হাতে পায়নি ৮ টি পুজো কমিটি। অভিযোগ মালদহের একাধিক ক্লাবের।

একাধিক পুজো কমিটি অনুদান (Mamata Banerjee) পায়নি বলে অভিযোগ

ঘটনা মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডীর। এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা আসেনি বলে অভিযোগ এখানকার ৮ টি ক্লাবের। ফলত মণ্ডপ, প্রতিমা থেকে পুজোর অন্যান্য খরচ মেটাতে গিয়ে এখন তাঁদের মাথায় হাত পড়ার জোগাড়। হবিবপুরে মোট ১০৯ টি পুজো হয়। তার মধ্যে আটটি পুজো কমিটির কাছে এখনও অনুদানের টাকা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ।

These puja committees didn't get donation as mamata banerjee promised

কী অভিযোগ পুজো কমিটিগুলির: পুজো কমিটিগুলির অভিযোগ, ব্যাঙ্কে চেক ভাঙাতে গেলে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে কেটে যাচ্ছে ক্লিয়ারেন্স চার্জ। কিন্তু অনুদানের টাকা ঢুকছে না ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। টাকা না পাওয়া এক পুজো কমিটির (Mamata Banerjee) কর্তা বলেন, রোজ পাওনাদাররা আসছেন টাকার খোঁজে। কিন্তু হাতে অনুদানের অর্থ না এলে কীভাবে টাকা শোধ করবেন তাঁরা? চাঁদা তোলা হয় না, অনুদানের অর্থই ভরসা।

আরও পড়ুন : এক বাসেই কলকাতা থেকে ভুটান! নামমাত্র ভাড়ায় আরামদায়ক সফর, জেনে নিন রুট

কী বলছে পুলিশ: তিনি জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের লোকও সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছে না। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ব্যাঙ্কের কিছু সমস্যার কারণেই আটকে রয়েছে টাকা। তবে দ্রুতই সেই অর্থ অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

আরও পড়ুন : SIR স্টে করানোর দাবি, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। উত্তর মালদহের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু তৃণমূল পরিচালিত ক্লাবগুলিকেই দেওয়া হচ্ছে টাকা। পালটা মালদহে তৃণমূলের সহ সভাপতি বলেন, দলীয় স্তরে খবর পাওয়া গিয়েছে, কিছু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে টাকা আটকে ছিল। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।