ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়ে বিরিয়ানির দোকান, মাসে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন দুই বন্ধু

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে বহু বছর ধরেই ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরিকে সমধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এখনও অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন যে, বাড়ির কোনো সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হলেই হওয়া যাবে চিন্তামুক্ত। যে কারণে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দৌড়ে ছোট থেকেই সামিল হন অনেকে।

কিন্তু, এখন সময়ে পাল্টাচ্ছে। পাশাপাশি, পাল্টে গিয়েছে মানুষের ভাবনাও। বর্তমানে দেশে চাকরির অপ্রতুলতা এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই পরিস্থিতিও অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। তাই, ইঞ্জিনিয়ার হয়েও অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অন্য পেশাকে। আর তাতে তাঁরা হচ্ছেন সফলও। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা আপনাদের এমন দু’জনের সাফল্যের কথা জানাবো যাঁরা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিরিয়ানির দোকান খুলে দারুণ রোজগারের রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন।

   

এমনিতেই এর আগেও আমরা এই ধরণের একাধিক সাফল্যের কথা শুনেছি। সেই রেশ বজায় রেখে এঁরাও প্রথাগত ভাবে না হেঁটে তৈরি করেছেন এক অনবদ্য উত্তরণের কাহিনি। যা জেনে অনুপ্রাণিত হবেন সকলেই। পাশাপাশি, তাঁরা এও প্রমাণ করেছেন যে, ইচ্ছে থাকলে যে কোনো কাজেই মানুষ পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারেন।

রোহিত এবং শচীন একটা সময়ে দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে চাকরির পথকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা আজ শুরু করেছেন তাঁদের নতুন উদ্যোগ। আর তার মাধ্যমেই তাঁরা উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। বর্তমানে তাঁরা বিরিয়ানি বিক্রি করেন। আর তাঁদের স্টলের নাম “ইঞ্জিনিয়ার’স ঠেলা”।

চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই পথকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা হরিয়ানার সোনিপতে তাঁদের বিরিয়ানির স্টলটি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে দু’জনে জানিয়েছেন যে, ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করার পরও তাঁরা সন্তুষ্ট হননি, তাই নিজেদের জন্য কিছু কাজ করার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। এরপর দু’জনে মিলে বিরিয়ানির স্টল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই কাজ শুরু করে দেন। আর তাতেই মেলে সফলতা।

উল্লেখ্য যে, রোহিত এবং শচীন দু’জনেই অত্যন্ত ভাল বন্ধু। রোহিত যখন পলিটেকনিকের ছাত্র ছিলেন, শচীন তখন বি-টেক করেন। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই কাজে লাগান তাঁরা। পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বিরিয়ানি খুব সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। কারণ, এই বিরিয়ানি অন্যান্য বিরিয়ানির তুলনায় তেলমুক্ত এবং তাঁরা এটি তৈরিতে ভালোমানের চালও ব্যবহার করেন। যে কারণে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের কাছে এই বিরিয়ানিই প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে।

WhatsApp Image 2022 03 14 at 12.06.55 PM

যার ফলে এখন তাঁদের এই উদ্যোগ বিশাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এর স্বাদ গ্রহণ করতে আসেন এখন। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই বিরিয়ানির দামও অত্যন্ত কম। মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে হাফ প্লেট বিরিয়ানির পাশাপাশি, ৭০ টাকাতেই পাওয়া যায় ফুল প্লেট বিরিয়ানি। এই “ইঞ্জিনিয়ার’স ঠেলা”-র দৌলতেই রোহিত এবং শচীন বর্তমানে রোজগার করছেন ভালো অঙ্কের টাকাও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর