বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেশ কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেল আর নেই যোগাযোগ! বলা ভালো, যোগাযোগের সুযোগটুকু পর্যন্ত নেই। কিন্তু, এখনও রয়েছে মনখারাপ। গৃহবধূদের প্রেমে আগের মতই পাগল রয়েছেন সেই দুই রাজমিস্ত্রি। যদিও, এর মধ্যে শুভজিৎ নামের এক রাজমিস্ত্রি পরিবর্তন করে নিয়েছেন তাঁর পেশা। কিন্তু, শেখর এখনও করেন রাজমিস্ত্রির কাজই। যদিও, এই ঘটনার পর তিনি যে আগের মত কাজ পাচ্ছেন না তাও জানিয়েছেন শেখর।
এদিকে, শুভজিৎ অবশ্য আগের পেশা ছেড়ে দিয়ে একটি বিড়ি কোম্পানির কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর এই চাকরিতে মোটা মাইনের পাশাপাশি, বোনাস, মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স সহ PF-এর সুবিধাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হলেও এখনও মানসিক ভাবে শান্তি নেই তাঁর। বরং আক্ষেপের সুরে তিনি জানিয়েছেন “রিয়ার জন্য মনটা কেমন করে ওঠে।”
পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন “ওর নতুন নম্বর আমার কাছে নেই। তবে, জানতে পেরেছি মায়ের বাড়িতে রয়েছে। ওদের বাড়ির পাশেই আমাদের গ্রামের একটি ছেলে কাজ করতে গেছে। সে ওকে দেখেছে। তবে, আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করে না।” এদিকে, রিয়াকে তাঁর পরিবার মেনে নেবে বলে দাবি করেছেন শুভজিৎ।
এদিকে, নতুন পেশার প্রসঙ্গে শুভজিৎ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর রাজমিস্ত্রির কাজ পাওয়া খুব কঠিন ছিল। তাই, বাধ্য হয়েই পেশা পরিবর্তন করেন তিনি। যদিও, শেখর এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন রাজমিস্ত্রির কাজ। পাশাপাশি, শেখরের মনের অবস্থাও তথৈবচ।
এই প্রসঙ্গে শেখর জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত মোট ৪ টে সিমকার্ড বদলেছে অনন্যা। ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে খুব ভালো হত। আমার মন অস্থির হয়ে ওঠে ওর জন্য। ওকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছি যে বাঁচতে পারব না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নিশ্চিন্দার কর্মকার বাড়ির দুই গৃহবধূ রিয়া ও অনন্যা। সঙ্গে ছিল রিয়ার সন্তানও। এরপরেই তাঁদের আর হদিশ মেলেনি।
তারপরেই পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে ওই দুই গৃহবধূর মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ তাঁদের সন্ধান পায়। সেখান থেকেই জানা গিয়েছিল যে, বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন ওই দুই গৃহবধূ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই রাজমিস্ত্রির নামে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে ওই গৃহবধূদের পরিবার। এখনও সেই মামলা চলছে আদালতে।
এদিকে, যাঁদের জন্য প্রেম নিবেদন করেছিলেন রাজমিস্ত্রিরা সেই রিয়া এবং অনন্যা তাঁদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি, এই ঘটনার পর থেকে জীবন বদলে গিয়েছে শেখর-শুভজিতেরও। তাঁদেরকে এখনও আদালত এবং কোর্টের চক্করও নিয়মিত কাটতে হচ্ছে।