বাংলা হান্ট ডেস্ক : একবিংশ শতকে গোটা বিশ্বে ভারতীয় যোগকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন তিনি। সেই বাবা রামদেব (Baba Ramdev) গতকাল বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন রাজস্থানের বাড়মের জেলায় অনুষ্ঠিত একটি সভায়। সেই সভায় ইসলাম (Islam) ও খ্রিস্টান (Christan) ধর্ম নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। এরপরই তাঁর মন্তব্য নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
রাজস্থানের এই সভায় যোগ গুরু বাবা রামদেবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি। এই মঞ্চ থেকেই রামদেব হিন্দুদের সতর্ক করে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম সম্পর্কে। তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে মূল বিষয়ই হলো নামাজ পড়া। নামাজ পড়ার যে কেউ যা কিছু করতে পারে। নামাজ পড়ার পর জিহাদের নামে তারা সন্ত্রাসবাদী তৈরি করে।’ নাম না করেই তিনি সাবধান খ্রিস্টান ধর্ম বিষয়েও।
খ্রিস্টান ধর্মের নাম না করেই বাবা রামদেব এদিনের সভায় বলেন, ‘এমন একটা ধর্ম আছে যেখানে মনে করা হয় চার্চে প্রদীপ জ্বালালেই সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। তাই চার্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনৈতিক কাজ করতেও তারা পিছপা হয় না।’ এদিনের বাড়মেরে এই সভায় সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন বাবা রামদেব। তাঁর মন্তব্য গোটা দেশ জুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে।
তবে রামদেব এদিন দাবি করেন, ‘বাইবেল বা কোরানে এমন কিছুই লেখা নেই। তারপরও খ্রিস্টান বা মুসলিমরা এমন অন্যায় দাবি করে। শুধু বাইবেল বা কোরানেই নয়, হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতেও এমন কিছু লেখা নেই। ইসলামরা স্বপ্ন দেখে পুরো বিশ্বকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করবে। অপরদিকে খ্রিস্টানরাও একই রকম ভাবনা পোষণ করে।’ বাবা রামদেবের এদিনের বক্তব্যকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মকে অপমান করা হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।