বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গতকাল বেলজিয়াম, কানাডার বিরুদ্ধে খুব একটা ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি। বরং উত্তর আমেরিকার দেশটির ফুটবল দলের দাপট দেখে সকলেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও কোনওভাবেই বেলজিয়ামের জালে বল চড়াতে পারেনি কানাডার ফুটবলার। উল্টে হাফ টাইমের ঠিক আছে মিচি বাৎসুয়াইয়ের করা গোলে ১-০ ফলে কোনক্রমে জয় পায় বেলজিয়াম।
কাল বেলজিয়াম যে জয় পেয়েছে তার অন্যতম নায়ক হলো গোলরক্ষক থিবো কুর্তুয়া। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জেতা গোলকিপার যেন ঠিক সেখান থেকেই চলতি বিশ্বকাপের যাত্রাটা শুরু করেছেন। কাল প্রথমার্ধেই বেলজিয়ান ডিফেন্ডার ক্যারাসকো বক্সের ভেতর হাতে বল লাগালে পেনাল্টি পেয়েছিল কানাডা।
কানাডা ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় তারকা আলফানসো ডেভিস পেনাল্টিটি নিতে এগিয়ে আসেন। বায়ার্ন মিউনিখের তরুণ উইং ব্যাক এই বড় মঞ্চে স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারেননি। কুর্তুয়ার বাঁ-দিক দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন তিনি কিন্তু দুর্দান্ত অনুমান ক্ষমতা দেখিয়ে সেই শটটি আটকে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। যদি সেই মুহূর্তে ওই সেভটি না করতে পারতেন তিনি তাহলে কানাডার আক্রমণের সামনে হয়তো খড় কুটোর মতো উড়েই যেত বেলজিয়াম।
কিন্তু এরপর একটি ঘটনা ঘটে যা নতুন করে বিতর্কে জন্ম দিচ্ছে। সকলেই জানে যে কাতার নিজেদের একটি সংরক্ষণশীল দেশ বলে দাবি করে থাকে। গ্যালারিতে স্বল্পবসনা নারী বা গোলের আনন্দে উত্তেজিত হয়ে জার্সি খুলে ওড়ানো এমন কাজ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না বলে তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। এই মানবাধিকার লংঘনকারী উদ্যোগগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ফুটবল বিশ্ব সরব হয়েছে। কিন্তু ফিফার মেরুদণ্ডহীন আচরণের জন্য তারা খুব একটা বড় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেনি।
এমন অবস্থায় কালকে ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে জয় এনে দেওয়ার পর কুর্তুয়া গ্যালারির দিকে এগিয়ে চান এবং নিজের পেশায় মডেল স্প্যানিশ বান্ধবীকে মিশেল গেরজিকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। কিন্তু এখানেই এবার বিপত্তির আশঙ্কা আসতে শুরু করেছে। কাতার প্রশাসন অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দর্শক সহ ফুটবলারদেরও এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না তাদের দেশে। এখনো অবধি কাতার প্রশাসন এই নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও যে কোনও মুহূর্তে শাস্তির খাড়া নেমে আসতে পারে বেলজিয়াম গোলরক্ষকের ঘাড়ে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন অনেকে।