বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল গুজরাট (Gujrat) থেকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সুরাট থেকে পুলিশ তেল মাফিয়ার পর্দাফাঁস করেছে। মূলত, গুজরাটসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করে মোটা টাকা আয় করত এই চোরেরা। শুধু তাই নয়, তেল চুরি করেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে তারা। যার মূল মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত সন্দীপ গুপ্তাকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এমতাবস্থায়, এই গ্রেফতারের পর তেল চুরির নেটওয়ার্কের অনেক বড় তথ্য ফাঁস হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, হরিয়ানা, রাজস্থানে তেল চুরির মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ গুপ্তার বিরুদ্ধে ২০ টিরও বেশি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। এছাড়া বিহার ও অন্যান্য রাজ্যে তার বিরুদ্ধে তেল চুরির ফৌজদারি মামলাও রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সুরাটের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার তোমর জানিয়েছেন যে, সন্দীপের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। রাজস্থান ও গুজরাটের মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেওয়ার পর সে পলাতক ছিল। তবে, এবার তাকে গ্রেফতার করেছে সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
কিভাবে চলত চুরি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দক্ষিণ গুজরাট থেকে ফার্নিশ তেল কিনে কালোবাজারির ব্যবসা শুরু করে সন্দীপ। এরপর তেল চোরদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। তারপর সে একটি সিস্টেম প্রস্তুত করে। যার মাধ্যমে যেখানেই ওএনজিসি ও ইন্ডিয়ান অয়েলের পাইপলাইন বের হতো, তার আশেপাশে একটি শেড বা ফ্যাক্টরি ভাড়া নিত তারা।
এরপর তার গ্যাং-এর সদস্যরা পাইপলাইনে ছিদ্র করে তেল চুরি করে ট্যাঙ্কারে ভরত। অনেক সময় তিন থেকে চারটি ট্যাঙ্কারে তেল ভর্তি করা হত। তথ্য অনুযায়ী, সন্দীপ এখনও পর্যন্ত ৩০০-৪০০ কোটি টাকার তেল চুরি করেছে। এমতাবস্থায়, গুজরাট ATS সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে সে পলাতক ছিল। এমন পরিস্থিতিতে, পুলিশ কমিশনার সন্দীপের গ্রেফতারকে বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন।