লকডাউনে চলে যায় চাকরি! দুরন্ত আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আজ লক্ষ লক্ষ আয় এই বাঙালি তরুণীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: “ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়”, এই বহুল প্রচলিত বাগধারাটি আমরা সকলেই শুনেছি। অর্থাৎ, কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে জেদ এবং সঠিক লক্ষ্য স্থিরের মধ্যেই যে সফল হওয়া সম্ভব তার উদাহরণ আমরা বহুবার পেয়েছি। এমনকি, প্রত্যেক সফল মানুষের সফলতার পেছনে এই চিরসত্যই লুকিয়ে রয়েছে। এবার ফের সেই পথে হেঁটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন এক তরুণী।

করোনা মহামারীর জেরে ঘটা লকডাউনে চাকরি হারালেও মনের জোর হারাননি তিনি। বরং, তিনি শুরু করেন নতুন এক পথচলা। আর তাতেই মেলে সাফল্য। আর এভাবেই তিনি সকলের কাছে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণাও। বর্তমান প্রতিবেদনে যাঁর প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হচ্ছে তাঁর নাম হল সমীরা সামছাদ। মূলত, বাংলাদেশের বগুড়ার এই তরুণী স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াকালীন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।

যদিও, সেই আবহে করোনার মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের জেরে ঘোষণা করা হয় লকডাউনের। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, একাধিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে চাকরি হারান সমীরাও। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনা গভীরভাবে প্রভাব ফেলে তাঁর মনে। তবে, মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে তিনি শুরু করেন নতুন এক উদ্যোগ।

এক দিন বাড়িতেই আমের আচার তৈরি করেছিলেন সমীরা। এমনকি, সেই আচারের ছবি ফেসবুকেও পোস্ট করেন তিনি। তারপরেই সেই ছবি দেখে ফেসবুকে অনেকে তাঁর তৈরি আচার সম্পর্কে উৎসাহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, কেনার জন্য দামও জানতে চান তাঁরা। ঠিক তখনই সমীরা মনস্থির করেন যে, তিনি আচারের ব্যবসা করবেন।

আর সেই ভাবনাকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করে তিনি আজ দারুণভাবে সফল হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, করোনার আবহেই ২০২০ সালের জুন মাসে সমীরা এই আচারের ব্যবসার শুরু করেন। তারপর থেকেই এখনও পর্যন্ত এই ব্যবসার মাধ্যমে তাঁর প্রায় ৮ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে।

এদিকে, এই ব্যবসার একদম শুরুর দিকে সমীরার মা তাঁকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেন। মূলত, সমীরা ও তাঁর মা মিলেই এই আচার বানাতেন। তবে সময়ের সাথে তাঁদের ব্যবসার কলেবরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার সাথে বেড়েছে চাহিদাও। এমতাবস্থায়, এখন প্রায় চার জন রয়েছেন এই কাজে সমীরাকে সাহায্য করার জন্য। পাশাপাশি, এভাবেই ব্যবসার পথে হেঁটে বিপুল অর্থও রোজগার করছেন সমীরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর