বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্থল হল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। প্রতি বছরই দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পর্যটক ছুটে আসেন সেখানে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীরের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এটিকে “ভূস্বর্গ” হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এমতাবস্থায়, আগামী দিনে কাশ্মীরে আগত পর্যটকদের জন্য এবার আরও একটি অন্যতম আকর্ষণ শুরু হতে চলেছে। এমনকি, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তুমুল আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে পর্যটকমহলে।
জানা গিয়েছে, এবার চেনাব রেলসেতুর কাজ শেষ হতে চলেছে। যেটি আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশ কিছুটা উঁচু। এমতাবস্থায়, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের উদ্দেশ্যে এই স্থান পর্যটকদের কাছে বাড়তি আগ্রহ জোগাবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা রেলওয়ে লিংক ৷ আর সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চেনাব নদীর উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের উচ্চতম এই রেলসেতু।
এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই সেতুটি তৈরি করেছে অ্যাফকনস নামের একটি সংস্থা। পাশাপাশি, ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এই সেতুর উচ্চতা হবে আইফেল টাওয়ারের থেকেও বেশি। পাশাপাশি, নির্মাণকারী সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মন্দার কারনিক জানিয়েছেন যে, নবনির্মিত ওই সেতুটিতে মোট ৮ টি স্টিলের পিলার বসানো হয়েছে। যেগুলির মধ্যে কিছু পিলার রয়েছে ছোট এবং কিছু বড়। সর্বোপরি, যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই সেতুটি হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, শনিবারই এই রেলসেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মন্দার কারণিক জানিয়েছেন, ‘‘এই অংশের কাজ করতে আমাদের মোট ৩০, ৩৫০ মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করতে হয়েছে। মূলত, ভৌগোলিক ভাবে এই জায়গাটি এমন ছিল যে এখানে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। এমনকি, একাধিক সমস্যায়ও পড়তে হয়।’’ যার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল ভূমিধস।
যদিও, শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে এই কাজ করতে পেরে খুশি অ্যাফকনস। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সংস্থা রেলওয়ের কাছে এই সেতুটিকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে অনুরোধ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই অংশের পূর্বে কাটরার বৈষ্ণোদেবী অবধি পর্যটকদের উপস্থিতি এমনিতেই পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, ঠিক তার পরেই রয়েছে সালান ড্যাম। যার ওপর নজর রাখে আন্তর্জাতিক স্তর। এমতাবস্থায়, এই নবনির্মিত রেলসেতু সেনার কাছে কৌশলগত কারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। শুধু তাই নয়, সেতুটির কুতুবমিনারের চেয়ে বেশি উচ্চতার পিলারকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে তুমুল আগ্রহ।