ছিলেন ধনকুবের! অথচ আজ রাস্তায় খাবার বিক্রি করে পেট চালাচ্ছেন এই বিজনেস টাইকুন, পরিচয় চমকে দেবে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাগ্য (Luck) এমনই একটি বিষয় যেটি যেকোনো সময় পরিবর্তিত হয়ে পাল্টে দিতে পারে মানুষের জীবন। এইরকম বহু প্রমাণ ইতিমধ্যেই আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যেখানে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো পরিবর্তিত হয়ে যায় সমগ্র জীবন। তাছাড়া, একটি বাগধারাও প্রচলিত রয়েছে। যেটিতে বলা হয়েছে, “আজ যে ফকির, কাল সে রাজা”। এমনিতেই আমরা দেখেছি যে ভাগ্যের ফেরে সহায়ম্বলহীন মানুষ হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি। দেশ-বিদেশজুড়ে এমন উদাহরণও রয়েছে প্রচুর।

তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি একটা সময়ে রীতিমতো ধনকুবেরের তকমা পেলেও আজ তিনি হয়ে পড়েছেন নিঃস্ব। এমনকি এখন বিপুল ঋণের ভারেও জর্জরিত তিনি। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনের ৫২ বছর বয়সী তাং জিয়ান কিছুদিন আগে পর্যন্ত একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও ২০০৫ সালে জিয়ানের ভাগ্যের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য সুখবর! Jio নিয়ে এল সবথেকে সস্তার রিচার্জ প্ল্যান, Netflix-এর সাথে প্রতিদিন মিলবে 3GB ডেটা

মূলত, জিয়ান রেস্তোরাঁর চেইনের মালিক ছিলেন। এমতাবস্থায়, মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়ে যান তিনি। কিন্তু, বর্তমানে ভাগ্যের পরিহাসে তিনি রাস্তার ধারে একটি ছোট দোকান খুলে গ্রিলড সসেজ বিক্রি করার মাধ্যমে কোনোমতে দিন গুজরান করেছেন। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, তিনি কিভাবে এইরকম দুর্দশার সম্মুখীন হলেন। সামনে এসেছে সেই বিষয়টিও।

আরও পড়ুন: আরও একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হল ঋণখেলাপি! প্রবল সঙ্কটের মুখে ডুবতে পারে চিনের অর্থনীতি

জানা গিয়েছে, জিয়ান এমন একটি শিল্পে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন যেটির সম্পর্কে তাঁর কোনো সঠিক ধারণা ছিলনা। এমনকি, অনেকের বারণ সত্বেও তিনি ল্যান্ডস্কেপ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবসায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে ফেলেন। এমতাবস্থায়, ভাগ্য সহায় না হওয়ায় তিনি সেখানেই দেউলিয়া হয়ে পড়েন।

শুধু তাই নয়, একটা সময়ে পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে পড়ে যে, ধীরে ধীরে তার রেস্তোরাঁর চেইনও ভেঙে পড়তে শুরু করে পড়ে এবং জিয়ান কয়েক কোটি টাকার ঋণের মধ্যে পড়ে যান। ভাগ্যের এই নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে জিয়ান জানিয়েছেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে চ্যালেঞ্জ আসে। তাই, এই সময় হাল ছেড়ে দিলে চলবেনা।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “আমরা সবাই খালি হাতেই এসেছি, তাই হারানোর কিছু নেই।” যদিও, এককালে রেস্তোরাঁর চেইনের মালিক হয়ে তিনি রেস্তোরাঁর কাজ দেখভাল করলেও এখন তিনি দিন গুজরানের জন্য নিজের হাতেই খাবার পরিবেশন করছেন। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিনের গণাধ্যমগুলিতেও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর