বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম হারের ফলে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের যাত্রা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে ভারতের জন্য। বিশেষত নিউজিল্যান্ড ম্যাচ এখন বিরাট বাহিনীর জন্য ডু অর ডাই লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। কারণ এই ম্যাচে জিততে না পারলে একরকম নিশ্চিত হয়ে যাবে বিরাটদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদেই উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে বিরাট বাহিনী।
তবে ম্যাচের আগে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল ভারতের সম্ভাব্য একাদশ কি হতে চলেছে? কারণ গতদিনের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছিল এই একাদশ নির্বাচনই। বিশেষজ্ঞদের মতে ওপেনিংয়ের জন্য রোহিত-রাহুল জুটিতে কোন পরিবর্তন আনতে চাইবেন না কোহলি, একথা ঠিক যে অনেকেই ঈশান কিশানের কথা বলছিলেন কিন্তু ওপেনিংয়ে অন্তত তার কোনও সুযোগ থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তিন নম্বরে গত ম্যাচেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিরাট তাই তার জায়গা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না।
চার নম্বরে এখনও সূর্য কুমার যাদবকেই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, অনেকেই মনে করছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোহলি তাকে একবার শেষ সুযোগ দিতে চাইবেন। অনেকে আবার তার জায়গায় ঈশান কিশানকে নেওয়ারও পক্ষপাতী। পাঁচ নম্বরে উইকেটকিপার পন্থের সুযোগ প্রায় নিশ্চিত। গত ম্যাচে ৩৯ রানের সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন পন্থ।
বিশেষজ্ঞদের মতে হার্দিক পান্ডিয়া এবং ঈশান কিশানের মধ্যে কিছুটা প্রতিযোগিতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও হার্দিক এরই মাঝে নেট সেশনে বোলিং করেছেন, এবং তিনি যে ফিট তা অনেকটাই প্রমাণও করেছেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই যোগদান রাখতে ব্যর্থ হার্দিক আর তাই তার জায়গায় ঈশান কিশানকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সূর্য কুমার যাদবকে ব্যবহার করা হতে পারে ফ্লোটার হিসেবে। এছাড়া দলে যে দুটি বড় পরিবর্তন দেখছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং শার্দুল ঠাকুর। শার্দুলের ব্যাটিং ভুবনেশ্বরের তুলনায় অনেকটাই ভালো, শুধু তাই নয়, বল হাতেও ভালো ফর্মে রয়েছেন তিনি। যদিও ভারতের একাদশ কি হবে তা জানা যাবে রবিবারই।
তবে অনেকের মতই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমন হতে পারে ভারতের সম্ভাব্য একাদশঃ
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা (সহ-অধিনায়ক) কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া/ঈশান কিশান, রবীন্দ্র জাদেজা, আর অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ শামি,