বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন হোক বা পুরনো, সিরিয়াল (Serial) বন্ধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয় টেলিপাড়ায়। প্রত্যাশা মতো টিআরপি আনতে না পারলে কিংবা নতুন সিরিয়ালকে জায়গা করে দিতে প্রায়ই বন্ধ হয় ধারাবাহিক। কিন্তু তাই বলে একটি চ্যানেলের একসঙ্গে সব ধারাবাহিক বন্ধ! তাও আবার শুধু সিরিয়াল নয়, নন ফিকশন শোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাতারাতি।
রাতারাতি সব সিরিয়াল (Serial) বন্ধ হয়ে গেল এই চ্যানেলের
চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই সফর শুরু করেছিল জি এর নতুন চ্যানেল জি বাংলা সোনার। বিনোদনভিত্তিক চ্যানেলটিতে একগুচ্ছ সিরিয়ালের সঙ্গে সঙ্গে নন ফিকশন শোও রাখা হয়েছিল। নামীদামী কলাকুশলীদের নিয়ে চ্যানেল দাঁড় করানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই মাত্র তিন চার মাসে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত সিরিয়াল এবং অন্য শো।

পরপর ধারাবাহিক বন্ধ: অতি সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, ঋষি কৌশিক, বাসবদত্তা, রুকমার ‘এসআইটি বেঙ্গল’ এর শুটিং বন্ধ হয়েছে, আবার বিশ্বনাথ বসু, ইন্দ্রাশিস রায়, মিমি দত্ত অভিনীত ‘শ্রীমান ভগবান দাস’, ইন্দ্রাণী পাল অভিনীত ‘বেদেনি জ্যোৎস্নার অমর প্রেম’ও বন্ধের মুখে।
আরও পড়ুন : বছর ঘোরার আগেই বিরাট মোড় গল্পে, রাতারাতি নায়ক বদলে গেল জি এর সিরিয়ালে!
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত: অন্যদিকে এই চ্যানেলেরই একটি নন ফিকশন শোতে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং ঐন্দ্রিলা সেন। তবে এই গেম শোয়ের সঙ্গে সঙ্গে খুদেদের প্রতিভা প্রকাশের যে শোটি সেটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হঠাৎ করেই। কেন হঠাৎ এই অবস্থা চ্যানেলের?
আরও পড়ুন : শেষ মুহূর্তে কমিশনে নালিশ চন্দ্রিমার, কাদের নোটিশ না পাঠানোর দাবি? স্পষ্ট করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
চ্যানেলের এই পরিস্থিতির কারণ কী? চ্যানেলের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নতুন চ্যানেল, টিআরপির প্রত্যাশা যেমন ছিল সেটা যে পূরণ হয়নি এমনটা নয়। তবে ব্যবসার দিকটা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনেকের অনুমান। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য নতুন সিরিয়াল (Serial) কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধ হওয়ার চলটাই বেশি দেখা যাচ্ছে। এক বিনোদন চ্যানেলে কর্মরত এক ব্যক্তির মতানুসারে, ২০২৬-২০২৭ সালে ভালো টিআরপি আনার জন্য দুমাস সময় পাবে সিরিয়ালগুলি। যদি সময়ের মধ্যে প্রত্যাশা মাফিক টিআরপি না তুলতে পারে সিরিয়াল, তবে তা প্রাইম টাইম স্লট হারাতে পারে।












