বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ভারতের (India) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সদ্য সম্পন্ন হওয়া অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতের সামরিক শক্তির প্রমাণ মিলেছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি ভারতের আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়েও স্বীকৃতি পেয়েছে।
ভারতের (India) “আকাশ”-এ মুগ্ধ গোটা বিশ্ব:
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ব্রাজিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এর অধিগ্রহণ ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের বিষয়ে ভারতের (India) সাথে আলোচনা শুরু করেছে। মূলত, ব্রাজিল চিনা “স্কাই ড্রাগন”-এর চেয়ে ভারতের আকাশ সিস্টেমকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি নীতি এবং “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পি. কুমারান নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ব্রাজিল কেবল এই সিস্টেমটি কিনতে আগ্রহী নয়, বরং ভারতের (India) সাথে সহযোগিতায় এটি তৈরি করতেও আগ্রহী। জানা গিয়েছে, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রাজিল সফরের সময় এই বিষয়ে একটি উচ্চ-স্তরের আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৫ থেকে ৮ জুলাই রিও ডি জেনেইরোতে সম্পন্ন হতে চলা ১৭ তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ব্রাজিলে দ্বিপাক্ষিক সফরে করবেন।
ভারত-ব্রাজিল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বে একটি নতুন মাত্রা: জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ব্রাজিলের শীর্ষ সামরিক আধিকারিকদের একটি দল ভারতে (India) “আকাশ” ডিফেন্স সিস্টেমের সরাসরি প্রদর্শনী দেখেছিলেন এবং তারপরে চিনা বিকল্পের চেয়ে এটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে, আর্মেনিয়ায় আকাশ ডিফেন্স সিস্টেমের সফল রফতানির পর ভারতের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: “লক্ষ লক্ষ কর্মীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা”, দল ছাড়লেন বিজেপির “বিতর্কিত” নেতা, নেটমাধ্যমে জানালেন…..
উল্লেখ্য যে, ভারত (India) ও ব্রাজিলের মধ্যে আরও একাধিক প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে প্রধানত রয়েছে:
১. ভারতের তেজস যুদ্ধবিমানের প্রতি ব্রাজিলের আগ্রহ এবং ব্রাজিলের সি-৩৯০ মিলেনিয়াম পরিবহণ বিমান গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনা।
২. ক্ষেপণাস্ত্র, গাইডেড মিউনেশন এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের ক্ষেত্রে যৌথ উন্নয়নের পরিকল্পনা।
৩. নৌবাহিনীর প্ল্যাটফর্ম এবং ছোট অস্ত্রের ক্ষেত্রে ভারতীয় ও ব্রাজিলিয় কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রযুক্তিগত ও শিল্প সংক্রান্ত সহযোগিতা।
৪. স্করপিন-শ্রেণির সাবমেরিনের যৌথ রক্ষণাবেক্ষণ। যা উভয় দেশের নৌবাহিনীকে খরচে সাশ্রয় এবং পরিচালনাগত শক্তি প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ভাড়া থেকে LPG সিলিন্ডার, প্যান কার্ড…. ১ জুলাই থেকে এই ১০ টি নিয়মে পরিবর্তন, এখনই নিন জেনে
শিল্প সহযোগিতাও আরও শক্তিশালী হচ্ছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই সক্রিয় ভারতীয় কোম্পানিগুলি (যেমন MKU এবং SMPP) বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থেকে শুরু করে অন্যান্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। একই সাথে, দু’টি বৃহৎ ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি- টরাস আরমাস এবং সিবিসি এখন ভারতে (India) তাদের বিনিয়োগ এবং অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। এর অর্থ হল এই কোম্পানিগুলি ভারতে আরও কারখানা স্থাপন করবে এবং এখানে অস্ত্র তৈরি করবে।
Embraer ভারতে নতুন সাবসিডিয়ারি খুলছে: এদিকে, ব্রাজিলিয়ান বিমান প্রস্তুতকারক Embraer ভারতে (India) একটি নতুন ইউনিট স্থাপন করেছে। এর ফলে এয়ারস্পেসে সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।