বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করির (Nitin Gadkari) চালু করা FASTag-এর সুবিধার মাধ্যমে এখন হাইওয়েতে চলাচল অনেক সহজ হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (The National Highways Authority of India, NHAI) টোল প্লাজাগুলিতে FASTag-এর মাধ্যমে বিশাল লাভও করেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২ সালে টোল আদায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৫০,৮৫৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এতে রাজ্য মহাসড়কের টোল প্লাজার সংগ্রহও রয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি সংস্থাটি এই তথ্য জানিয়েছে।
সর্বোচ্চ কালেকশন হয় ২০২২-এর ২৪ ডিসেম্বর: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে টোল প্লাজাতে FASTag-এর মাধ্যমে মোট ৩৪,৭৭৮ কোটি টাকার টোল সংগ্রহ করা হয়েছিল। NHAI-এর জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাগুলিতে FASTag থেকে গড়ে দৈনিক টোল সংগ্রহের পরিমান ছিল ১৩৪.৪৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ এক দিনের কালেকশন হয় ২০২২-এর ২৪ ডিসেম্বর। ওইদিন মোট সংগৃহীত টোলের পরিমান পৌঁছে যায় ১৪৪.১৯ কোটি টাকায়। ।
২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ: সরকারি বিবৃতি অনুসারে, FASTag কর্তৃক লেনদেনের সংখ্যাও বার্ষিক ভিত্তিতে ২০২২ সালে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ এবং ২০২২ সালে এই পরিমান ছিল যথাক্রমে ২১৯ এবং ৩২৪ কোটি টাকা।
টোল প্লাজায় অনেকটাই কমে গিয়েছে ভিড়: এই প্রসঙ্গে NHAI জানিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ৬.৪ কোটি FASTag জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে FASTag-এর মাধ্যমে টাকা কাটার ক্ষেত্রে প্লাজার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ১,১৮১ (৩২৩ টি রাজ্য মহাসড়কের প্লাজা সহ) হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯২২। পাশাপাশি, পুরো প্রক্রিয়াটি আগের তুলনায় অনেক কম সময়ের মধ্যেও সম্পন্ন হচ্ছে। যার কারণে টোল প্লাজায় ভিড়ের পরিমানও কমে গিয়েছে।
সমস্ত যানবাহনের জন্য বাধ্যতামূলক হয়েছে FASTag: উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই সরকার ২০২১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য FASTag বাধ্যতামূলক করেছে। এমতাবস্থায়, যেসমস্ত যানবাহনে বৈধ অথবা কোনো FASTag নেই সেই যানবাহনগুলিকে জরিমানা বাবদ নির্ধারিত টোল ফি-র দ্বিগুণ টাকা দিতে হয়।