বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালি মাত্রে অধিকাংশই মাছ (Fish) প্রিয়। আর বাজারে তো মাছের কমতিও নেই। রুই, কাতলা থেকে শুরু করে পাবদা, পারশে, শিঙি, মাগুর যেমন রয়েছে, তেমনই ইলিশ, ভেটকির মতো অভিজাত মাছও রয়েছে। তবে মাছের হাজারও রকমফের থাকলেও সব মাছ (Fish) কিন্তু মোটেই আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু কিছু মাছ যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর, আবার কিছু মাছ সুস্বাদু হলেও দূরে থাকতেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সঠিক মাছ (Fish) খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা
উদাহরণস্বরূপ, ইলিশ খেতে কে না ভালোবাসেন। কিন্তু এই মাছ (Fish) বেশি খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, বর্তমানে যেহেতু রেড মিট খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই কড়াকড়ি রয়েছে, তাই বিকল্প পুষ্টিগুণ পেতে অনেকেই মাছের দিকে ঝুঁকছেন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক মাছটি (Fish) বেছে নিলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। পুষ্টিগুণে ভরপুর মাছ খেলে যেমন সুস্থ থাকা সম্ভব, তেমনই কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না।
কী গুণ রয়েছে সার্ডিনে: অনেক পুষ্টিবিদের মতে, সার্ডিন মাছ (Fish) শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে, রক্ত প্রবাহও নিয়ন্ত্রণ করে এই মাছ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই মাছে। প্রচুর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাছ (Fish) হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। শিশুদের জন্যও খুব উপকারী এই মাছ। শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উপযোগী সার্ডিন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে মাছের আকাল, এদিকে অর্ধেক দামে ইলিশ রপ্তানি ভারতে! দেশবাসীর ক্ষোভের মুখে ইউনূস সরকার
স্বাস্থ্য ভালো রাখে সার্ডিন: এই মাছে (Fish) থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। ফলে হাড়কে শক্তিশালী করে সার্ডিন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রেভিতে সেদ্ধ করে সার্ডিন মাছ খেলে সম্পূর্ণ প্রোটিন পাওয়া যাবে। সার্ডিন মাছে (Fish) রয়েছে ফসফরাস, যা হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন যা রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ টানাপোড়েনের অবসান, স্টপেজ বাড়ল শিয়ালদহ-বনগাঁ রুটে, নতুন স্টপেজে উপচানো ভিড় এসি লোকালে
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী সার্ডিন। এই মাছে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বক উজ্জ্বল করে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। পুষ্কি বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত একদিন এই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।