বাংলাতেই অবস্থিত; তবুও এই জায়গার জল,বিদ্যুৎ আসে বিদেশ থেকে! জানেন অদ্ভুত স্থানটি কোথায়?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে জল ও বিদ্যুৎ একটি সাধারণ ও নূন্যতম চাহিদা। সাধারণত যে এলাকায় একজন মানুষ বা পরিবার বসবাস করে সেখানকার জল ও বিদ্যুৎ তারা পেয়ে থাকে। সেই দেশের হয়েই মেটাতে হয় বিল। তবে জানেন আমাদের ভারতে (India) এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানকার মানুষেরা এদেশের বাসিন্দা হলেও তাদের কাছে জল ও বিদ্যুৎ আসে বিদেশ থেকে?

ভারতের (India) এক অবাক করা গ্রাম

ভারতের (India) বাসিন্দা হলেও এখানকার মানুষেরা বিদেশের সংস্থার বিল মেটান। শুনতে অবাক লাগলেও আপনাদের জানিয়ে রাখি ভারতের (India) এই এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ ও জলের জন্য নির্ভরশীল ভুটানের উপর। অবাক করে দেওয়া কথা হল এখানকার মানুষরা বিল মেটান ভুটান সরকারকে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা থানার অধীন ভুটানের সীমান্তবর্তী গ্রাম জিটি।

আরোও পড়ুন : হায় হায়! এ কী কান্ড! ছাতা বিছিয়ে রেলওয়ে ট্র্যাকেই নিশ্চিন্ত ঘুম! শেষমেশ চালক যা করলেন…’থ’ সকলেই

একটু পিছনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব ১৯৫২ সাল থেকে ভুটানের গোপাল লাইন স্থান দিয়ে দুই দেশের মানুষের মেলামেশা চলত। এই স্থানে ভারত (India) ও ভুটানের (Bhutan) মানুষেরা কেনাবেচাও করতেন। কোভিড মহামারীর আগে অব্দি সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ২০২০ সালে মহামারীর সময় তাল কাটে। ২০২২ সালে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ভুটান সরকার তাদের এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যায় অন্যত্র।

This India village get water, electricity from Bhutan

একই সাথে দুই দেশের সীমান্তে থাকা দীর্ঘ দিনের বাঁশের ফটক তুলে নিয়ে বসানো হয় ১০ ফুট উচ্চতার তারের বেড়া এবং প্রাচীর। তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ভারত (India) ও ভুটানের বাসিন্দাদের অবাধ মেলামেশা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। ক্রমশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অবনতি হচ্ছে ভুটান সীমান্ত গ্রামের কুড়িটি পরিবার ও নাগরাকাটা ব্লকের জিটি এবং হোপ চা বাগান-সহ প্রায় সাত হাজার মানুষের।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর