বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছোটবেলায় রূপকথার গল্পে শুক-শারী ও ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমীর কথা সকলেই পড়েছি। তারা ছিল পাখি কিন্তু অবিকল মানুষের মতোই কথা বলতে পারত। তবে রূপকথার দেশের বাইরে আদতে তাদের অস্তিত্ব ছিল কিনা তার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও টিয়া, ময়না কাকাতুয়া পাখিকে কিন্তু ওই গোত্রেই ফেলা যায়। মানুষের শোনা কথা অনিকল মানুষের মতোই বলতে পারে তারা। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। মানুষের শরীরের ল্যারিনক্সের মতোই আকৃতির সিরিন্ক্স রয়েছে টিয়াপাখির শরীরে। যার জন্য তারা অবিকল মানুষের মতো কথা বলতে পারে। কিন্তু টিয়া, ময়না, কাকাতুয়াকে তো বহুবার দেখেছেন কথা বলতে, শালিখ পাখিকে কখনও দেখেছেন কি? আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। অবিকল মানুষের মতো কথা বলতে পারে এই শালিখ!
মা, বাবা, কাকি একের পর এক শব্দ শুধু বলতে বলার অপেক্ষা, সঙ্গে সঙ্গেই তা বলে শুনিয়ে দিচ্ছে শালিখ। গলাও পরিষ্কার, প্রত্যেকটি শব্দই শোনা যাচ্ছে। এই শালিখ আসলে পোষা। খাঁচার মধ্যে থাকে সে। বাড়ির মালকিনই তাকে শিখিয়েছে কথা বলা। পরিষ্কার গলায় মা, বাবা ডাক শুনে যে কেউ টিয়া বলে ভুল করবেই।
https://www.facebook.com/BangaliWestB/videos/586811395209954/
এই ভিডিও এখন রীতিমতো ভা্ইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। শালিখ পাখিকে এর আগে এভাবে কথা বলতে দেখেননি কেউই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই হয়নি এখনও।
কিছুদিন আগেই ‘বিট্টু’ নামে এক টিয়াপাখির কাণ্ডকারখানা ভাইরাল হয়েছিল নেটজগতে। মিষ্টি গলায় ‘দুষ্টমি করছ?’, ‘করছ না?’ বলে সব্বার মন জয় করে নিয়েছিল সে।