বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। একদিকে যখন বিশ্বের বড় বড় দেশের ইকোনমিক গ্রোথের (Economic Growth) পরিসংখ্যান ক্রমশ কমছে ঠিক সেই আবহেই ভারতের (India) ইকোনমিক গ্রোথের অনুমান ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের পর এবার IMF অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ভারতের ইকোনমিক গ্রোথের বিষয়টি বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে চিনের (China) ইকোনমিক গ্রোথ কমেছে।
পরিসংখ্যানগত দিক থেকে IMF ২০২৩-২৪-এর জন্য ভারতের GDP বৃদ্ধির পূর্বাভাস ০.২ শতাংশ বাড়িয়ে ৬.৩ শতাংশ করেছে। অন্যদিকে IMF গ্লোবাল ইকোনমিক গ্রোথ ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এদিকে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত চিনের গ্রোথের অনুমান হ্রাসের বিষয়টিতে বড় ধাক্কা পেয়েছে জিনপিংয়ের দেশ।
চিনকে ধাক্কা দিয়েছে IMF: গত জুলাইয়ে IMF বলেছিল যে, ২০২৩-২৪-এর জন্য ভারতের বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ হতে পারে। এই পরিসংখ্যান সেই সময়ের মধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫ শতাংশের অনুমান থেকে কম ছিল। এদিকে, মঙ্গলবার IMF ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে, চিনের গ্রোথের অনুমান ২০২৩-এর জন্য ০.২ শতাংশ এবং ২০২৪-এর জন্য ০.৩ শতাংশ কমিয়েছে। এমতাবস্থায়, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার চিনের চেয়ে বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছেলে ডাক্তার, জামাই IPS! অথচ ফুটপাতে বসে বই বিক্রি করছেন এই মহিলা, কারণ জানলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে
টানা ২ বছর বৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশে থাকতে পারে: IMF-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ এবং ২০২৪ উভয় ক্ষেত্রেই ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এদিকে, IMF ২০২৩-এর জন্য তার পূর্বাভাস ০.২ শতাংশ বাড়িয়েছে। মূলত, এপ্রিল থেকে জুন মাসে প্রত্যাশিত ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে এটি করা হয়েছে। IMF জানিয়েছে যে, আর্থিক নীতির অনুমান অনুসারে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল নাকি প্যালেস্তাইন? সামরিক ক্ষমতার বিচারে কে রয়েছে এগিয়ে? চমকে দেবে এই পরিসংখ্যান
৪০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে রাশিয়ান তেলের আমদানি: উল্লেখ্য যে, সরকার মুদ্রাস্ফীতিকে ৪ শতাংশের স্তরে রাখার দায়িত্ব RBI-কে অর্পণ করেছে। যা আরও দুই শতাংশ ওপরে এবং নিচের দিকে ওঠানামা করতে পারে। IMF বলেছে যে ভারত ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসে রাশিয়া থেকে ৩৫ থেকে ৪0 শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছিল। যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের আগে এই পরিসংখ্যান ছিল ৫ শতাংশেরও কম। এছাড়াও, ভারত ইউরোপিয় ইউনিয়নে তার তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।