বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে UPI (Unified Payments Interface)-র সাহায্যে আর্থিক লেনদেন। যার ফলে, সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত সহজও হয়ে গিয়েছে এই বিষয়টি। যদিও, নতুন এই পদ্ধতিকে ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে জালিয়াতির ঘটনাও। যা নিঃসন্দেহে চিন্তাবৃদ্ধি করছে সকলের। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুম্বাই (Mumbai) থেকে। সেখানে তিনজন যুবক গুগল প্লে স্টোর থেকে এমন একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে যার মাধ্যমে অর্থ না প্রদান না করেই অর্থ প্রদানের বার্তা পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।
এমতাবস্থায়, একটি রেস্তোরাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না হলে সেখানকার ম্যানেজার থানায় অভিযোগ করেন। আর এই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরাও হতবাক হয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন যে এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গুগলকে একটি চিঠি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মুম্বাই পুলিশ ১৯ থেকে ২১ বছর বয়সী তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। একটি রেস্তোরাঁর বিল পরিশোধের বিষয়ে ওই তিনজন প্রতারণার সাথে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, রেস্তোরাঁর ম্যানেজার অর্থ প্রদানের বার্তা পেয়েছিলেন। পরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করলে তিনি হতবাক হয়ে যান। পুলিশ আধিকরিকরা বলেন, অভিযোগকারীর কাছে শুধু একটি বার্তা এসেছে কিন্তু টাকা ঢোকেনি। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্তের অভিভাবকরা রেস্টুরেন্ট মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের টাকা দেন।
আরও পড়ুন: আজই বাড়িতে আনুন এই চারটি গাছের শিকড়! ঘটবে একাধিক অলৌকিক ঘটনা, রাতারাতি হবেন মালামাল
১,৮০০ টাকার জাল পেমেন্ট করা হয়: এই প্রসঙ্গে আরসিএফ থানার ইন্সপেক্টর রঞ্জিত যাদব বলেন, প্রথমে, দুই যুবক গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৬ টা ১৫ মিনিট নাগাদ শিব ছায়া রেস্তোরাঁয় পৌঁছয়। সেখানে তাদের ১,৮০০ টাকা বিল হয়। এমতাবস্থায়, সেখানকার ম্যানেজারকে QR কোড দিতে বলা হয়। জানা গেছে, অভিযুক্তরা গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করেছিল। এই অ্যাপ ব্যবহার করে QR কোড স্ক্যান করা হয়েছে। ওই অ্যাপটি একটি ভুয়ো বার্তা তৈরি করে। বার্তাটি দেখলে মনে হয় যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, Google Pay বা অন্য কোনো পেমেন্ট অ্যাপের মতো একটি সবুজ টিকও সেখানে দেখায়।
আরও পড়ুন: ফের গ্রাহকদের বড় উপহার SBI-এর! এবার সস্তায় মিলছে এই লোন, আগামী বছর পর্যন্ত মিলবে সুবিধা
আরও দু’টি রেস্তোরাঁয় একই ঘটনা ঘটেছে: এদিকে, স্থানীয় হারদীপ পাঞ্জাব এবং কৈলাশ পাঞ্জাব রেস্তোরাঁ থেকে ঠিক একইরকম অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে যে দু’জন ১,৪০০ টাকা এবং ৩,২৬০ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। এমতাবস্থায় বাশি নাকা এলাকায় অভিযুক্তদের খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা তিন যুবকের মধ্যে দু’জনের চুরির পুরোনো রেকর্ডও রয়েছে। এরপর অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে পুলিশ। তদন্তে তাদের ফোনে একটি অ্যাপ পাওয়া যায়। যেটি ব্যবহার করে তারা প্রতারণা করত।