বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউডে প্রতি বছর কত ছবিই না মুক্তি পায়। এর মধ্যে অনেক ছবি যেমন হিট হয়, অনেক ছবি আবার ডাহা ফ্লপের (Flop Film) তকমাও পায়। বর্তমানে বক্স অফিস নম্বরের যুগে কোন ছবি কত তাড়াতাড়ি ১০০, ২০০ কোটির বক্স অফিসে ঢুকল তার হিসেব করা হয়। সেই হিসেবের নিরিখেই ঠিক হয় ছবিটি হিট হল নাকি ফ্লপ (Flop Film)। আবার কিছু ছবি টেনেটুনে কয়েক কোটি, কিংবা কয়েক লাখের ব্যবসা করেই বিদায় নেয় বক্স অফিস থেকে। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন, ভারতের সবথেকে বড় ফ্লপ ছবি (Flop Film) কোনটা?
দেশের সবথেকে বড় ফ্লপ ছবি (Flop Film) তৈরি হয় বলিউডে
হ্যাঁ, সেই ছবিও তৈরি হয়েছিল বলিউডেই। তবে হাল আমলে নয়। সেই আশির দশকে। আজ থেকে ৪২ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘জখমি ইনসান’, যা দেশের মধ্যে সবথেকে ফ্লপ ছবি (Flop Film) হিসেবেই মানা হয়। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন দীপক বলরাজ বিজয়। অভিনয় করেছিলেন জাভেদ খান, শক্তি কাপুর, অরুণা ইরানি এবং রীতা ভাদুড়ি।
নায়কের শেষ ছবি: জানলে অবাক হবেন, এটাই ছিল শক্তি কাপুরের নায়ক হিসেবে প্রথম এবং শেষ ছবিও বটে। এরপর আর কখনোই কোনো ছবিতে ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। সম্প্রতি কপিল শর্মার শোতে এসে কেরিয়ারের বিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। তখনই ওঠে এই ছবির প্রসঙ্গ। শক্তি কাপুর নিজেই বলেন, কত বড় ফ্লপ (Flop Film) হয়েছিল ছবিটি।
আরো পড়ুন : সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ?
মাত্র ১৫ মিনিটেই সরিয়ে দেওয়া হয় হল থেকে: অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি নায়ক হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমি জখমি ইনসান ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, কিন্তু ছবিটি প্রযোজক, পরিচালক, দর্শক সবাইকে জখমি করে দিয়েছিল। এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড! প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় ১২ টার সময়ে, আর ১২ টা ১৫ মিনিটে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
আরো পড়ুন : ‘অন্য কোথাও হলে চুলের মুঠি ধরে…’, অনুষ্ঠানে বাংলা গানের বিরোধিতা, মেজাজ হারিয়ে হুঙ্কার ইমনের!
শক্তি আরো বলেন, ‘তার আগে পর্যন্ত আমি যাদের সঙ্গে ভিলেন হিসেবে কাজ করেছিলাম, সবাইকে বলে দিয়েছিলাম যে আমি আর এমন চরিত্র করব না। কারণ আমি এখন হিরো।’ কিন্তু ছবি (Flop Film) মুক্তির পর সমস্ত ধারণাই ভেঙে যায় শক্তি কাপুরের। তিনি মজা করে বলেন, ‘আমি আবার ওঁদের কাছে গিয়ে কাজের জন্য ভিক্ষা চেয়েছিলাম’। ওই ছবির পর থেকে আর হিরো হওয়ার দুঃসাহস দেখাননি শক্তি কাপুর।