রাস্তায় ভিক্ষা করতে বলা হয়েছিল, ১৭২৮ কোটির সম্পত্তি নিয়ে আজ তিনি দেশের ধনী তম গায়ক! বলুন তো কে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতে প্রতিভাবান গায়ক (Singer) গায়িকার অভাব নেই। সোনু নিগম, শ্রেয়া ঘোষাল থেকে শুরু করে অরিজিৎ সিং, মোনালি ঠাকুররা দীর্ঘদিন ধরে শ্রোতাদের মন জয় করে আসছেন। তাঁদের সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ হন আট থেকে আশি। কিন্তু জানেন কী, দেশের মধ্যে সবথেকে ধনী গায়ক কে? তাঁর সুরেও মজেছে আসমুদ্রহিমাচল।

গায়কের সৃষ্টিতে মুগ্ধ সকলে

ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম নক্ষত্র তিনি। দেশের সর্বসেরা সুরকার, গীতিকারদের মধ্যে তিনি একজন। নিজের সুর দিয়ে শুধু যে দেশের মানুষের মন জয় করেছেন তিনি তা নয়। নিজের সৃষ্টির দৌলতে গোটা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন এই গায়ক। জানলে অবাক হবেন, এক একটি গানের জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। বুঝতে পারলেন কার কথা বলা হচ্ছে?

আরো পড়ুন : ডুবে থাকতেন মাদকে, নারীসঙ্গে ট্রিপল সেঞ্চুরি! জেল ফেরত এই অভিনেতা বলিউডের রত্ন!

কে তিনি

তিনি এ আর রহমান। ১৯৯৫ সালে ‘রঙ্গিলা’ ছবির হাত ধরে সঙ্গীত সফর শুরু হয় এ আর রহমানের। অচিরেই শাহরুখ খানের ‘দিল সে’, ‘তাল’ এর মতো ছবিতে সুর দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘ছাইয়া ছাইয়া’ থেকে ‘তাল সে তাল মিলা’র মতো গান আজো সঙ্গীত প্রেমীদের প্রিয় তালিকায় রয়ে গিয়েছে। অবশেষে ২০০৮ সালে আসে অস্কার পুরস্কার। ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ ছবির জন্য দু দুটি অস্কার জেতেন গায়ক।

আরো পড়ুন : জাস্ট একটুর জন্য… কেবিসিতে কোটি টাকা জিতেও ৭ কোটির এই প্রশ্নে হোঁচট, আপনি জানেন উত্তর?

রয়েছে প্রচুর পুরস্কার

অস্কার ছাড়াও ৬ টি জাতীয় পুরস্কার, দুটি গ্র্যামি, একটি বাফটা, একটি গোল্ডেন গ্লোব, ৬ টি তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, ১৫ টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড রয়েছে এ আর রহমানের ঝুলিতে। এছাড়াও গায়ক পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার। তবে এত আকাশছোঁয়া সাফল্য পাওয়া সহজ ছিল না। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে সংসারের দায়ভার এসে পড়েছিল রহমানের কাঁধে। রোজগার করতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই স্কুলে যেতে পারতেন না গায়ক।

Singer

এ আর রহমানের মাকে বলা হয়েছিল, ছেলেকে আর স্কুলে না পাঠিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করতে পাঠানোর জন্য। আজ তিনিই দেশের সবথেকে ধনী গায়ক। প্রায় ১৭২৮ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি।


Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর