বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) এটাই শেষ ২১ শে জুলাই বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip ghosh)। করোনার জেরে এবার বড় জমায়েত বন্ধ। তাই একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতা এবার ভার্চুয়ালি দিলেন দলের সুপ্রিমো।
মঙ্গলবার নিউ টাউনের ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। তিনি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন করে বলেন, যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা যে দলেরই হোক, বাংলার মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে।
১৯৯৩ সালে ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন। সেদিনের থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ। তিনি বলেন, সেদিন পুলিশ এক জায়গায় গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুলি, বন্দুক,বোমের আওয়াজ আসছে আর বিরোধীদের ধরে টানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মানেই মমতা ব্যানার্জীর ড্রামা। এটা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জীর এটাই শেষ ২১ শে জুলাই।
দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞলি দিতেই হয়, যিনি তা করছেন, তাঁকে অঙ্গীকার করতে হবে, আর কোনও বিরোধীর গায়ে হাত পড়বে না।
এর আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন মমতা ব্যানার্জীর শহিদ দিবস পালন করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তিনি বলেন, বাম শাসনে মমতা ব্যানার্জীর প্রথমে এসপ্ল্যানেডে পুলিশের গুলিতে যুব কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে সভা শুরু করেছিলেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিজেপি কর্মীরা কালো ব্যাজ পরবেন। কালো পতাকা তুলবেন। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা মমতা ব্যানার্জীর দ্বিচারিতাকে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দিনটিকে প্রহসন দিবস হিসেবে পালন করার কথাও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
যাঁরা শহিদের রক্তে হেঁটে ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা আর অন্যদের শহিদ করছেন। বলেছেন দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যে সাধারণ মানুষ ও বিরোধীদের কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এটা যদি মমতা ব্যানার্জী পরিবর্তন করে গিতে পারেন, তাহলে বলা যাবে তাঁর গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা আছে।
না হলে শহিদদের নিয়ে রাজনীতি করবেন আর বিরোধীদের শহিদ বানাবেন, এদুটো জিনিস একসঙ্গে হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।