মোটে দেড় ঘন্টায় কলকাতা থেকে দার্জিলিং! বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির ট্রেন এটাই, কোথায় চালু হচ্ছে?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কম সময়ে কত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় সেই চেষ্টাই করে চলেছে রেল। ভারতে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ গতির ট্রেনগুলির (Train) মধ্যে অন্যতম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশের এই প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি এখন ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা। তবে জানেন কি, বিশ্বের সবথেকে দ্রুত ট্রেনের (Train) গতিবেগ হতে চলেছে ঘন্টায় প্রায় ৯০০ কিমি।

বিশ্বের সবথেকে দ্রুত গতির ট্রেন (Train) হতে চলেছে এটি

পরীক্ষামূলক রানেই এই ট্রেনের গতি উঠেছিল ৮৯৬ কিমি প্রতি ঘন্টা। মনে করা হচ্ছে, এটিই হতে চলেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ দ্রুত গতির ট্রেন (Train)। না, ভারতে নয়, এই দ্রুত গতির ট্রেন আনছে চিন। জানা গিয়েছে, চিনের মাটিতে ট্রায়াল রান করা এই ট্রেনের কোড নেম CR450। এতদিন চিনে সবথেকে দ্রুত ট্রেনের (Train) গতিবেগ ছিল ৩৫০ কিমি। কিন্তু এই নতুন ট্রেনের গতি আরও ৫০ কিমি বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪০০ কিমি প্রতি ঘন্টা।

This is reportedly going to be the fastest train in the world

কত হবে গতিবেগ: শুধু দেশের মধ্যেকার ট্রেনই নয়, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে দ্রুত গতির ট্রেন হিসেবে পরিচিত জাপানের Maglev LO সিরিজের ট্রেনের (Train) পরীক্ষামূলক গতিবেগ ছাপিয়ে গিয়েছে চিনের নতুন ট্রেন। ট্রায়ালে জাপানের Maglev ট্রেন গতি তুলেছিল ঘন্টায় ৬০০ কিমি। কিন্তু সেই ট্রেনের গতিকেও টপকে গেল CR450।

আরও পড়ুন : একবারেই জালে ৬০ মণ ইলিশ! ৮০০ গ্রামের রূপোলি শষ্য কত টাকায় বিকোলো? অঙ্কটা শুনলে চমকাবেন

কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা: জানা যাচ্ছে, সাংহাই-চেংদু রুটে ছুটবে এই নতুন ট্রেন (Train)। তবে এখনই শুরু হচ্ছে না যাত্রী পরিষেবা। তার আগে অন্তত ৬ লক্ষ কিমি ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেনের নির্মাতা সংস্থার দাবি, মাত্র ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ডেই ৩৫০ কিমি পর্যন্ত গতি তুলতে পারে CR450। সেখানে আগের ট্রেনটি (Train) এই গতি তুলত অন্তত ৬ মিনিট ২০ সেকেন্ড।

আরও পড়ুন : SIR শুরুর আগেই বড় পদক্ষেপ, সাসপেন্ড হতে চলেছেন ১৪৩ বিএলও! নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

ট্রেনের ডিজাইনের দিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তীরের ফলার আকৃতির কথা মাথায় রেখে এই ট্রেনের সামনের অংশটি ডিজাইন করা হয়েছে। আগের CR400 ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে। গতি বাড়াতে ট্রেনের কামরার উচ্চতা কমানো হয়েছে, সঙ্গে ওজনও কমানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।