বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলি নদীর (Hooghly River) পশ্চিম তীরে নির্মিত হাওড়া স্টেশন দেশের অন্যতম পুরনো রেল স্টেশনগুলির একটি। কলকাতা শহরের প্রবেশদ্বার মূলত শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনকে বলা হয়। ১৮৫৪ সালে হাওড়া স্টেশন ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গোটা ভারতে যত রেলস্টেশন আছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি বগি থাকার ক্ষমতা রয়েছে হাওড়া স্টেশনের।
পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল হাওড়া। বাংলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর এটি। অবস্থানগত দিক থেকে ও বাণিজ্যিক কারণে হাওড়া বহু বছর ধরেই বাংলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ১৮৫৪ সালে হাওড়া স্টেশন দিয়ে প্রথম রেল চলাচল শুরু করে। তবে প্রথম দিকে হাওড়া স্টেশন বলতে ছিল শুধু একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম ও একতলা একটি ভবন।
আরোও পড়ুন : ফের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়! পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যা করা হল পড়ুয়ার সাথে..শুনে আঁতকে উঠবেন
সেই ভবনে একটি ছোট জানলা ছিল যেটি টিকিট কাউন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হত। ১৯০১ সালে বর্তমান লাল বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়। ব্রিটিশ স্থপতি হালসে রিকার্ডো হাওড়া স্টেশনের এই লাল বিল্ডিং নকশা করেন। তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন হাওড়া স্টেশনের একদম শুরুর দিকে ছিল মাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম।
আরোও পড়ুন : IPL খেলবেন না শামি, চোটের কারণে বাদ গোটা মরশুম থেকেই! ছিটকে যেতে পারেন বিশ্বকাপ থেকেও
বর্তমান হাওড়া স্টেশনের ১৭ নম্বর লাইনটি হল এই স্টেশনের প্রথম লাইন। বর্তমানে এই লাইন দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। শুধু পার্সেল গাড়ি এই লাইনে আসে শুধু। বর্তমানে এই স্টেশন দেশের অন্যতম বৃহত্তম ও ব্যস্ততম একটি স্টেশন। সারাদিন অজস্র মানুষের ভিড় এই স্টেশনে।
প্রতিদিন ৩৫০-র বেশি ট্রেন ছাড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে। ১৮৫৩ সালে মুম্বাই থেকে প্রথম ট্রেন এবং ১৮৫৪ সালে হাওড়া জংশন থেকে দ্বিতীয় ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল। সময়ের সাথে বদলেছে অনেক কিছু। এখন হাওড়া রেল স্টেশনের নিকটে তৈরি করা হয়েছে হাওড়া মেট্রো স্টেশন। ক্রমাগত আধুনিকীকরণের কাজ চলছে হাওড়া স্টেশনে।