বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ১৯৮০ সালে টলিপাড়ায় নক্ষত্রপতন হয়। সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান বাঙালির মহানায়ক উত্তমকুমার (Uttam Kumar)। স্বাভাবিক ভাবেই পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে তখন শোকের ছায়া নেমেছে। হঠাৎ এভাবে মহানায়কের চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারেননি। বাংলার বুকে তখন চলছে স্বর্ণযুগ, আর এইসময় এভাবে নক্ষত্রপতন হবে সেটা কেও ভাবতেও পারেননি। তাই ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ হয়ে পড়েন সব্বাই।
একথা নতুন করে বলার দরকার নেই যে, যাওযার আগে সারা বাংলাকে কাঁদিয়ে দিয়ে গেছিলেন মহানায়ক। টলিউডের স্বর্ণযুগের ইতিহাস বলতে যে বোঝায় তার প্রায় সবই উত্তম এবং সুচিত্রাকে নিয়ে। একটার পর এক হিট ছবি দিয়েছেন দুজনে। উত্তম এবং সুচিত্রা জুটির রসায়নও দর্শকদের বেশ মনে ধরে। কিন্তু পর্দার পিছনে কেমন সম্পর্ক ছিল তাদের? কয়েক দশক পর আজও সেই আলোচনা দর্শকদের মুখে মুখে।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন দুজনেই। যদিও দুজনের কেউই প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকার করেননি। পরবর্তীতে সুচিত্রা সেনের অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে যে কারণটা সবার প্রথম উঠে আসে তা হল উত্তম কুমার। অনেকেই বলে থাকেন, মহানায়কের সাথে অভিনয় করতে না পারার কারণেই অভিনয় জগৎ থেকে একপ্রকার বিরতি নেন মহানায়িকা।
আরও পড়ুন : ‘ওর জন্য কী না করেছি…’, সায়ন্তিকার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন উঠতেই মুখ খুললেন জায়েদ খান
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে উত্তম কুমার সেই সুচিত্রা সেনের খোঁজই করেছিলেন। সেই সময় ‘আলো আমার আলো’ ছবিটি দেখে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এই মুগ্ধতা খুব বেশিদিন উপভোগ করতে পারেননি তিনি। কারণ ঠিক তার এক সপ্তাহের মাথায় পরলোক গমন করেন মহানায়ক।
আরও পড়ুন : ‘আজ যা বলব সবই তো মিথ্যা হবে…’, উত্তমকে নিয়ে এ কী বললেন সাবিত্রী?
জানা যায়, মহানায়িকার দুর্দান্ত অভিনয়ের তারিফ করার জন্যই তার সাথে দেখা করতে চাইছিলেন উত্তম কুমার। কিন্তু ব্যস্ত অভিনেত্রী সময় দিতে পারেননি। উত্তর দেন পরে কখনও দেখা করবেন। নায়িকা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আরও কোনোদিনই দেখা হবেনা তাদের। আমৃত্যু সেই আক্ষেপ রয়ে যায় সুচিত্রা সেনের।