বাংলা হান্ট ডেস্ক: গতা বুধবার আমেরিকা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তথা CBI (Central Bureau of Investigation)-কে একটি বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। মূলত, ২০২৩ সাল থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্রতারণাকারী একটি সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে “অংশীদারিত্ব এবং সমর্থন” করার জন্য তারা CBI-কে সাধুবাদ জানিয়েছে।
CBI (Central Bureau of Investigation)-কে ধন্যবাদ জানাল আমেরিকা:
ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। যেখানে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, “মার্কিন-ভারত ল ইনফোর্সমেন্ট সহযোগিতার জন্য এটি একটি বড় সপ্তাহ।”
A big week for #USIndia law enforcement collaboration. India’s CBI, in close coordination with the U.S. @FBI, dismantled a transnational cybercrime syndicate that defrauded U.S. nationals of nearly $40M through tech-support scams — and arrested key figures behind the cyber fraud…
— U.S. Embassy India (@USAndIndia) August 27, 2025
ওই পোস্টে জানানো হয় যে, “ভারতের CBI (Central Bureau of Investigation) মার্কিন FBI-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে, একটি আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ ভেঙে দিয়েছে। যারা প্রযুক্তিগত সহায়তা জালিয়াতির মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতারণা করেছিল এবং সাইবার জালিয়াতির নেটওয়ার্কের মূল ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”
ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “শেয়ার করা গোয়েন্দা তথ্য এবং সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে, আমাদের ২ টি সংস্থা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা, ভবিষ্যতের জালিয়াতি রোধ করা এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপদ রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। CBI (Central Bureau of Investigation)-এর অংশীদারিত্ব এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন: আগেভাগেই সতর্ক করেছিল ভারত! ভয়াবহ বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে পাকিস্তান, ক্রমশ বাড়ছে সঙ্কট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২ বছরে মার্কিন নাগরিকদের ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণাকারী একটি অত্যাধুনিক সাইবার অপরাধ চক্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে CBI (Central Bureau of Investigation)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই CBI ৩ জন অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। তারা প্রযুক্তিগত সহায়তার নামে প্রতারণা চালাত। এই তদন্তকারী সংস্থা (Central Bureau of Investigation) অমৃতসরের খালসা মহিলা কলেজের বিপরীতে গ্লোবাল টাওয়ারে “ডিজিক্যাপস দ্য ফিউচার অফ ডিজিটাল” নামে একটি কল সেন্টারের পর্দাফাঁস করেছিল।