বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংবাদ শিরোনামে এখন শুধুই বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে বিএলওদের (BLO) অভিযোগ। এসআইআর এর ফর্ম ফিল আপ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য ডিজিটাইজেশন, এই সবের চাপে অনেক বিএলওর নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আবার কেউ কেউ আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতেই মাত্র ১৭ দিনে প্রায় ১০০ শতাংশ ফর্মের তথ্য ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যপূরণ হলে নজির গড়লেন বীরভূমের মহিলা বিএলও পূজা ঘোষ।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসআইআর এর কাজ সম্পূর্ণ করলেন বিএলও (BLO)
বীরভূমে লাভপুরে বিধানসভার ১৬৬ অংশের বিএলও পূজা ঘোষ। চারিদিকে যখন এসআইআর এর অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে কান্নাকাটি, অসুস্থতার অভিযোগ, সেখানে তিনি মাত্র ১৭ দিনেই সেরে ফেলেছেন সিংহভাগ কাজ। তাঁর বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ১০১৭ জন। মোট ১০১৪ জনের ফর্ম সংগ্রহ করে সেগুলির তথ্য আপলোড করেছেন বিএলও পূজা ঘোষ।

কীভাবে সম্পূর্ণ হল কাজ: প্রায় ৯৯.৯১ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। বিভিন্ন দিকে যখন অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ, প্রতিবাদে মুখর হচ্ছেন বিএলওরা, সেখানে ঠিক কোন মন্ত্রে এত দ্রুত এত কাজ সম্পূর্ণ করলেন পূজা? সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, তিনি আগে থেকেই একটি লক্ষ্য ধরে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : জিতুর সঙ্গে বিতর্ক তুঙ্গে, তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর থেকে বিশেষ সম্মান পেলেন দিতিপ্রিয়া!
কী জানালেন বিএলও: পূজার কথায়, সব কাজেই চাপ রয়েছে। তবে মনোসংযোগ দিয়ে করলে কোনও চাপেই কিছু হবে না। প্রতিদিন ১৫০ ফর্ম আপলোড করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো কাজ করতেন রোজ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪ টে পর্যন্ত। রাতের দিকে সার্ভারও ভালো থাকত। তাই ভোর তিনটে চারটের মধ্যেই টার্গেট পূরণ করতে পেরেছেন বলে জানান পূজা।
আরও পড়ুন : হাওড়া ডিভিশনে ট্রাফিক ব্লক, রবিবার বাতিল ৫ জোড়া লোকাল ট্রেন
তবে তিনজনের ক্ষেত্রে অনলাইনে ‘নট ফাউন্ড’ দেখানোয় তাদের ফর্ম (SIR) আপলোড করতে পারেননি বলে জানান বিএলও পূজা ঘোষ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যান্য বিএলওদের প্রতি তিনি ভেঙে না পড়ার বার্তা দিয়েছেন। পারব না, চাপ হচ্ছে, আত্মহত্যা করার মানসিকতা দূর করতে হবে। তবেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।












