এবার মাটিতে নেমে আসবে চাঁদ! ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই মায়াবী রিসর্ট তৈরি হচ্ছে দুবাইয়ে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাতের আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ দেখতে কার না ভালো লাগে! পাশাপাশি, ছোটবেলা থেকেই চাঁদ সম্পর্কিত একাধিক রূপকথার গল্প শুনে এসেছি আমরা। যেগুলি শুনে সবাই একবার হলেও চাঁদে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন অবশ্যই দেখেছেন। তবে, এবার পৃথিবীর মাটিতেই নেমে আসছে চাঁদ! এছাড়াও, পাওয়া যাবে চাঁদের অনুভূতিও। হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, এবার সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী (United Arab Emirates, UAE) একটি চাঁদের মতো রিসর্ট তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে দুবাই মুন (Dubai Moon)। এমনকি, সেখানে আগত পর্যটকরা চাঁদের মত “জিরো গ্র্যাভিটি”-র অনুভূতিও পেতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।

৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: উল্লেখ্য যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী বুর্জ খলিফা সহ আরও অন্যান্য গগনচুম্বী ভবনের জন্য পরিচিত। এমতাবস্থায়, সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হতে চলেছে “দুবাই মুন”। জানা গিয়েছে, সেটিকে একদম আকাশে থাকা উজ্জ্বল চাঁদের মতো করেই তৈরি করা হবে। যার ফলে এক ঝলকে তাকিয়ে দেখলেই মনে হবে যেন চাঁদ মাটিতে নেমে এসেছে। এই প্রসঙ্গে অ্যারাবিয়ান বিজনেস রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চাঁদের মতো এই রিসর্টটি তৈরি করতে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকা) খরচ হবে।

৪৮ মাসের মধ্যেই করা হবে প্রস্তুত: পাশাপাশি, ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, দুবাইয়ে এই “ডেস্টিনেশন রিসর্ট” নির্মাণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পটি তৈরি করছে মুন ওয়ার্ল্ড রিসর্টস। এই কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন স্যান্ড্রা জি ম্যাথিউস এবং মাইকেল আর হেন্ডারসন। এই প্রসঙ্গে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “দুবাই মুন” পর্যটনের প্রসারের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অর্থনীতিতে উপকারী প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি, এটির প্রস্তুতির সময়সীমা সম্পর্কে জানানো হয় যে, এই বিশাল রিসর্টটির নির্মাণ কাজ ৪৮ মাসের মধ্যেই শেষ হবে।

রিসর্টে থাকবে এইসব সুবিধা: প্রতিবেদন অনুসারে মনে করা হচ্ছে যে, এই রিসর্ট প্রতি বছর ২.৫ মিলিয়ন পর্যটককে আকৃষ্ট করবে। পাশাপাশি, “দুবাই মুন”-এর উচ্চতা হবে ৭৩৫ ফুট অর্থাৎ ২২৪ মিটার। এছাড়াও, চাঁদের মতো দেখতে এই রিসর্টের পরিধি হবে ৬২২ মিটার। এখানে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একটি নাইট ক্লাব ও ওয়েলনেস সেন্টারও থাকবে। এছাড়াও, সেখানে আগত অতিথিরা মুন শাটলে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন। সর্বোপরি, ওই রিসর্টে একটি ক্যাসিনো ও রেস্টুরেন্ট থাকবে।

download 50

বার্ষিক আয় হবে এত: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে তৈরি হওয়া এই “দুবাই মুন” প্রতি বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রিসর্টটি এক বছরে ১.৫ বিলিয়ন ইউরো (১৩ হাজার কোটি টাকা)-রও বেশি আয় করবে। উল্লেখ্য যে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পর্যটন খাতের আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর