কাঁধ দিলেন মেয়েরা! মৃত্যুর পরেও এভাবে অমর হয়ে থাকবেন মা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটি আবেগাপ্লুত ঘটনার সাক্ষী থাকল হরিয়াণার (Haryana) পানিপথ (Panipat)। জানা গিয়েছে, সেখানে “ছেলে-মেয়ে সমান সমান” স্লোগানকে জোর দিয়ে মায়ের মৃতদেহ নিজেদের কাঁধে বহন করলেন মেয়েরা। পাশাপাশি, ওই মহিলার দেহ দানও করা হয়। এই প্রসঙ্গে মৃতার মেয়ে পুষ্পা ইনসা জানিয়েছেন, “আজ আমাদের মায়ের চোখ এবং দেহদান করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কারণ জীবিত অবস্থায় প্রত্যেকেই সেবা করেন, কিন্তু মৃত্যুর পরেও এভাবে অন্যের সেবার কাজে যুক্ত থাকা যায়। যা সত্যিই অতুলনীয়।”

পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে নরেশ চৌধুরী ইনসা নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী নিরানী দেবী ইনসা পানিপথের ব্লক কাবডির বিকাশ নগরের বাসিন্দা ছিলেন। গত সোমবার তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে ডেরা সাচ্চা সৌদা দরবার সিরসা সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এমতাবস্থায়, তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, দেহদান করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, জীবিত অবস্থায় রক্তদান এবং মৃত্যুর পর দেহদানের চেয়ে বড় দান আর কিছু হতে পারে না বলেও জানান তিনি।

ওই মহিলার মৃতদেহ ফরিদাবাদের ধৌজের আল ফারাহ স্কুল অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা ওই দেহের সাহায্যে গবেষণা করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে উঠবেন। আর এই কারণেই করা হয়েছিল দেহদান।

WhatsApp Image 2022 08 17 at 7.05.50 PM

পাশাপাশি, মৃতার মেয়ে পুষ্পা জানিয়েছেন যে, “১৯৮৮ সালে তাঁর মা সিরসার আদালতে ডেরা সাচ্চা সৌদার দ্বিতীয় পাতশাহী শাহ সতনাম সিংজি মহারাজকে তাঁর নাম দান করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি অন্যদের সাহায্য করার জন্য দিনরাত প্রস্তুত থাকতেন। এমতাবস্থায়, তিনি সিরসার দরবারেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর দেহ ও চোখ দান করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।” জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মোট তিনজন সন্তান রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বিবাহিত এবং সুখী জীবনযাপন করছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর