দেশজুড়ে লকডাউন, অসহায় প্রানীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু সহৃদয় মানুষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে এরকম অনেক মানুষের কথা উঠে এসেছে যারা বিপদে মানুষ এবং অবলা প্রাণীদের সবরকমভাবে সাহায্য করেছেন। দরিদ্র ও অভাবী মানুষ ছাড়াও অসহায় প্রাণীদের জন্য এই সময় খুব বিপদজনক । লোকেরা ঘর বন্দী তাই এই অবস্থায় এসব প্রাণী ও পাখি খাবার পাচ্ছে না।

ব্যাঙ্গালোরের প্রবীন কুমার প্রতিদিন প্রায় দেড়শো প্রাণীকে খাওয়াচ্ছেন।তেমন ইন্দোরের রাজেন্দ্র সিংহ তাঁর সমাজে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলির যত্ন নিচ্ছেন। আবার অন্যদিকে লকডাউনের সময় অসহায় প্রাণীদের খাবার সরবরাহের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের মধ্যে পাঁচটি পৌর কর্পোরেশন এবং ৪৮ টি পৌরসভাকে ৫৪ লাখ টাকা দান করেছে। বেঙ্গালুরুতে বসবাসরত প্রবীণ ‘ ওয়েভ সেভ অ্যানিমালস ‘ নামে একটি সংস্থা পরিচালনা করেন। আর লক ডাউন পরিস্থিতিতে তিনি রাস্তায় অবলা প্রাণীদের যত্ন নিচ্ছেন।

IMG 20200504 WA0020

আশ্রয়কেন্দ্রে সমস্ত প্রাণীর যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তিনি বাইরেও নিঃস্ব প্রাণীদেরও খাওয়াচ্ছেন।প্রবীণ প্রতিদিন আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথে একশো থেকে দেড়শো প্রাণীকে খাওয়ান। এই খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা তাকে খরচ করতে হয়। যার মধ্যে বিস্কুট, শাকসবজি এবং ফলমূল সব রাখা হয়। জেপি নগর থেকে কনকপুরার মাঝে তিনি মাঝেমধ্যে নিঃস্ব প্রাণীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন এর মধ্যে কুকুর, বিড়াল, গরু সব প্রাণীই আছে। লক ডাউনে খাবার না মেলায় তিনি অনেকেরই কাছে সাহায্যের আর্জি জানান পাশাপাশি তার ফোন নাম্বারও দিয়ে দেন। গত বেশ কয়েক বছর ধরে পুনেতে রেসকিউ নামে একটি এনজিও নিঃস্ব প্রাণীদের উদ্ধারে জড়িত ।

আবার অন্যদিকে ইন্দোরের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিং সমাজের বাইরের কিছু প্রাণীকে খাওয়ানো দিয়ে শুরু করেছিলেন। তিনি বাড়ির ছাদে পাখিদের জন্যই জল ও শস্য রাখার জন্য জনগণকে আবেদন করেছেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেন প্রাণীদের সাহায্য করার জন্য তার ফলে মুম্বই, পুনে, ভোদোদরার মতো লোকদের কাছ থেকে তিনি অনেক সাহায্যও পেয়েছেন। তিনি নিউ ওয়ার্ল্ড এনিমাল রেসকিউ অর্গানাইজেনে যোগ দিয়েছেন।যেখানে নিঃস্ব প্রাণীদের খাবার সরবরাহের জন্য অনেক মানুষ একসাথে কাজ করেন।


সম্পর্কিত খবর