বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারি (Lottery) কাটার অভ্যেস কমবেশি প্রায় সকলেরই আছে। দিনমজুর থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত অনেকেই ৩০ টাকা লটারি কেটে হয়েছেন কোটিপতি। কেবলমাত্র আমাদের দেশে নয় একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ১.৪ কোটি মানুষ মোটা অঙ্কের টাকা জিতেছেন লটারিতে।
লটারির টিকিট কেটে অনেকেরই রাতারাতি বদলে গিয়েছে ভাগ্য। তবে যদি কোন ব্যক্তি ১৪ বার লটারিতে মোটা অঙ্কের টাকা যেতেন তাহলে তিনি ঠিক কত কোটি টাকার মালিক হবেন ভেবে দেখেছেন কখনও? হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন। সম্প্রতি এমনই এক ব্যক্তির হদিস পাওয়া গেছে যিনি একবার বা দু’বার নয় ১৪ বার লটারিতে জিতেছেন মোটা অঙ্কের টাকা। তাও আবার ‘সিক্রেট ফর্মুলা’ ব্যবহার করে।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে আমাদের দেশে নয়। তিনি থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। নাম স্টেফেন ম্যান্ডেল। পেশায় তিনি গণিতজ্ঞ। নিজের সিক্রেট ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে বহুবার তিনি জিতেছেন একাধিক বড় মূল্যের লটারি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘লটারি কেনার সময় আমি একটি হিসেব কষে নিতাম। যতবার লটারি কেটেছি ততবার আমার হিসেব মিলেছে’।
প্রথমবার ১৯৬০ সালে লটারি কেটেছিলেন স্টেফেন। প্রথমবারই পেয়ে যান সাফল্য। এরপরেই রোমানিয়ায় স্থানান্তরিত হন তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া এবং আমেরিকা থেকে একে পর এক লটারি কাটতে শুরু করেন। প্রত্যেকবারই এসেছে সাফল্য। এমনকি তাঁর এই সাফল্যে একটা সময় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল লটারি বিক্রেতা কোম্পানিগুলি।
স্টেফেনকে লটারি কাটা থেকে বিরত রাখতে নানান রকম ফন্দি আঁটতে থাকেন তারা। তার বিরুদ্ধে জারি করা হয় একটি হুইপ। আর সেখানেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় এক ব্যক্তির থেকে সমস্ত টিকিট কিনতে পারবেন না তিনি। যদিও এতে খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। অস্ট্রেলিয়াতেই পর পর ১২ বার লটারি যেতেন স্টেফেন।
এরপর আরও কড়াকড়ি করা হয় নিয়ম। আর তাই আমেরিকায় চলে যান স্টেফেন। সেখান থেকে লটারি কেটে প্রায় তিন কোটি টাকার পুরস্কার পান। ভার্জিনিয়াতে পান সবথেকে বড় জ্যাকপট। তবে এর পরেই দেশের গোয়েন্দাদের নজরে আসতে হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালান CIA এবং FBI। কিন্তু এই গণিতজ্ঞের বিরুদ্ধে কোন রহস্যজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।
তবে নিজের প্রতি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস একটা সময় তার জন্য ভুল প্রমাণিত হয়। ১৯৯৫ সালে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায় স্টেফেনের। এরপরেই তিনি ফিরে আসেন নিজের পুরনো জায়গায়।