এবার টের পাবে বাংলাদেশ! হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে ওপারে পণ্য রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত এই ভারতীয় সংস্থার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দরকারে অদরকারে ভারতের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হয় বাংলাদেশকে (Bangladesh)। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে ওষুধ এবং নানান জিনিস রফতানি হয়ে থাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে। আবার ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ এদেশে আসে চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু ভারতের এই উপকার তো বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষদের একাংশ ভুলেই গিয়েছেন। উপরন্তু ইউনূসের শাসনকালে সেদেশে যেভাবে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বেড়েছে, তার প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারতের বহু মানুষ।

বাংলাদেশকে (Bangladesh) শিক্ষা দিতে বড় সিদ্ধান্ত ভারতের এই রাজ্যে

আর এবার বাংলাদেশকে (Bangladesh) ‘টাইট’ দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতের এক রাজ্যের সংস্থা। মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার মান্ডিদীপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার রফতানিকারীরা বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

This state of india refused to export goods in Bangladesh

বাংলাদেশে পড়বে বড় প্রভাব: উল্লেখ্য, এতদিন এই মান্ডিদীপ বাজার থেকে সুতো, তুলো, ট্রাক্টর, ওষুধ, অটো এবং রেলের যন্ত্রাংশ, প্লাস্টিক, স্টিলের আসবাব সহ প্রায় ২৭ টি পণ্য রফতানি করা হত বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন যা, হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদে পড়শি দেশে পণ্য রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মান্ডিদীপের প্রেসিডেন্ট ড. রাজীব আগরওয়াল বলেন, বাংলাদেশের মোট চাহিদার ৭০-৮০ শতাংশই রফতানি হয় ভারত থেকে। পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হলে ১৫ দিনেই বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতি ধসে পড়বে।

আরো পড়ুন : দেশ ছেড়ে পালানোর আগে শেষ ফোন কাকে করেছিলেন হাসিনা? প্রকাশ্যে কল রেকর্ড, শুরু হইচই

কত টাকার পণ্য রফতানি হয়: তিনি আরো জানান, গত বছরের শেষের দিকেই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি বন্ধ করা হবে। মান্ডিদীপে মোট ৪৫০ টি শিল্প ইউনিট রয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাদের বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২১ শতাংশ আসে রফতানি থেকে, যা হল ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর বছরে এর মধ্যে মাত্র ৮০০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয় বাংলাদেশে (Bangladesh)। রফতানি বন্ধের বিষয়ে মান্ডিদীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তাদের আর্থিক ধাক্কা দেওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন : ‘আমার তখন ১৬-১৭, তাঁর ২৮…’, বয়সে বড় মহিলার সঙ্গে প্রেম! শ্যামৌপ্তিকে নিয়েও অকপট ‘অনিকেত’ রণজয়

অন্যদিকে রাশিয়ার বাজারকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন রফতানিকারীরা। আসলে রাশিয়ার বাজার যেমন বড়, তেমনি লাভের পরিমাণও অনেক বেশি। এদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ায় পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করায় আকাল দেখা দিয়েছে সেখানে। তাই বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাশিয়ার বাজার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে মান্ডিদীপ। পাশাপাশি সূত্রের খবর বলছে, মধ্যপ্রদেশের আরো অনেক শিল্প সংস্থা, তামিলনাড়ু, ছত্তিসগড়ের একাধিক সংস্থাও একই পথে হাঁটতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে বড় ধারণ পাবে তা বলাই বাহুল্য।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর