বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের হলেন গৌতম আদানি। তাঁর আদানি গ্রুপের (Adani Group) গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের (Adani Ports and Special Economic Zone Limited, APSEZ) আধিপত্য এবার আন্তর্জাতিক স্তরে বাড়তে চলেছে। মূলত, APSEZ মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আরও বন্দর অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। এমতাবস্থায়, আদানির এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ভারতকে শুধু ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত করবে না, বরং চিনের আধিপত্যকেও প্রত্যক্ষভাবে চ্যালেঞ্জ করবে।
বিরাট পরিকল্পনা সামনে আনল আদানি গ্রুপ (Adani Group):
কি জানা গিয়েছে: এই প্রসঙ্গে ব্লুমবার্গ নিউজের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, খারাপ শিপিং কানেক্টিভিটির কারণে ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আদানি গ্রুপের (Adani Group) কোম্পানিগুলি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সুযোগ খুঁজছে। জানিয়ে রাখি যে, আদানি পোর্টস হল মার্কেট ক্যাপের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বৃহত্তম লজিস্টিক অপারেটর। অন্যদিকে, ভারতের বর্তমান কন্টেইনার ট্রাফিক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি অর্থাৎ চিনের ১০ শতাংশেরও কম।
ইঙ্গিত দিয়েছেন করণ আদানি: এমতাবস্থায়, আদানি গ্রুপের (Adani Group) সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর করণ আদানি বলেছেন যে, “আমরা ভারতকে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সামগ্রিক সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার জন্য কাজ করছি। এটি অর্জনের জন্য আমরা যেখানেই প্রয়োজন সেখানে পজিশন নেব।” ধনকুবের গৌতম আদানির ৩৭ বছর বয়সী বড় ছেলে করণ বলেছেন যে “আমরা সুযোগ খুঁজছি। কারণ এই অঞ্চলগুলি থেকে ভারতের সাথে প্রচুর বাণিজ্য হয়।”
আরও পড়ুন: অগাস্টেই বড় চমক! সাধারণ মানুষও কি পারবে মহাকাশে সফর করতে? উত্তর জানা যাবে এই দিন
এদিকে, এই অধিগ্রহণ অভিযান এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন আদানি গ্রুপ (Adani Group) দ্রুত তার বৃদ্ধির পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছরের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরে, আদানি গ্রুপের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি এলোমেলো হয়ে যায়। তবে, গত এক বছরে এই গ্রুপের কোম্পানি আদানি পোর্টস ক্রমাগত তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: আম্বানি নেন না একটা পয়সাও! রিলায়েন্স থেকে কত বেতন পান নীতা এবং তিন সন্তান? জানলে হবেন “থ”
একাধিক অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেছে এই কোম্পানি: জানিয়ে রাখি যে, আদানি পোর্টস ইতিমধ্যেই ভিয়েতনামের সরকারের কাছ থেকে দা নাং-এ গ্রিনফিল্ড উন্নয়নের জন্য “নীতিগত অনুমোদন” পেয়েছে। যার মূল্য ২ বিলিয়ন ডলারেও বেশি হতে পারে। এছাড়াও, ইজরায়েলের হাইফা, শ্রীলঙ্কার কলম্বো এবং তানজানিয়ার দার এস সালাম বন্দরও অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই সেক্টরে আদানির উচ্চাকাঙ্ক্ষা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করার লক্ষ্যের সাথে মিলিত হয়েছে। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)।