বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, যদি সরকার বেসরকারি বিমানবন্দর অপারেটরদের অনুরোধে সম্মত হয় সেক্ষেত্রে ভারতে (India) ভ্রমণকারীরা সারা দেশে শুল্কমুক্ত দোকানে ইন্দ্রি (Indri) এবং আম্রুতের (Amrut) মতো জনপ্রিয় ভারতীয় মদের ব্র্যান্ডগুলি কেনার সুযোগ পেতে পারেন। মার্কেট রিসার্চ ফার্ম মর্ডর ইন্টেলিজেন্সের (Mordor Intelligence) মতে, শুল্কমুক্ত দোকানে বিক্রির ক্ষেত্রে ওয়াইন এবং স্পিরিট তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যেখানে প্রথম দুই স্থানে রয়েছে ফ্যাশন-অ্যাক্সেসরি ও জুয়েলারি এবং ঘড়ির বিভাগ।
কি জানা গিয়েছে: মূলত, এই সংক্রান্ত অনুরোধ অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রাইভেট এয়ারপোর্ট অপারেটর (APAO) থেকে বাজেট সুপারিশের একটি সেটের অংশ। যেখানে বলা হয়েছে, “শুল্ক-মুক্ত অপারেটরদের ডিপারচারের সময় শুল্ক-মুক্ত দেশীয় ভারতীয় মদ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া উচিত। এটিকে রপ্তানি হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। এর ফলে বিদেশি বাজারে ভারতীয় তৈরি মদের ব্র্যান্ড ইমেজ উন্নত হবে।”
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দুর্ভোগ এড়াতে এখনই জেনে নিন ছুটির দিন
এদিকে, এই অনুরোধটি এমন সময়ে এসেছে যখন ভারতীয় হুইস্কি ব্র্যান্ডগুলি বিশ্বজুড়ে প্রশংসা জিতেছে। গত মাসের শুরুতে, ইন্দ্রি স্বাদের উপর ভিত্তি করে “বিশ্বের সেরা হুইস্কি”-র পুরস্কার জিতেছিল। উল্লেখ্য যে, শুল্কমুক্ত দোকানে ভারতীয় হুইস্কির অনুমতি দেওয়ার পদক্ষেপটি বিশ্বের নির্ধারিত কিছু বাজারে তাদের জন্য একটি বাজার তৈরি করতে সহায়তা করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের রপ্তানির সুযোগ মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দূরপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ। তবে, ভারতীয় হুইস্কি ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাজারে পৌঁছতে পারেনি রপ্তানি ফি-এর জেরে।
আরও পড়ুন: এভাবে পেঁপে-তরমুজ চাষ করেই ভাগ্য ফেরালেন কৃষক! কেবলমাত্র ৪ মাসেই আয় ৩২ লক্ষ টাকা
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বাধা হল সেইসব বাজারে গ্রেইন-বেসড স্পিরিটগুলির চাহিদা রয়েছে। যা ভারতীয় কোম্পানিগুলি পূরণ করতে পারে না। কারণ এখানকার স্পিরিট গুড় থেকে তৈরি হয়। সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হুইস্কি রপ্তানি FY ২০২৩-এ ১২৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যেটি FY ২০১৪-র ১১২.৪ মিলিয়ন ডলারের থেকে ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু FY ২০১১-এ রপ্তানি করা ১২৭.৮ মিলিয়ন ডলারের থেকে কম।
এদিকে, APAO-র অন্যান্য সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে শুল্ক-মুক্ত ওয়াইনের ক্রয়ের সীমা দু’টি থেকে চার বোতল করা এবং ২০১৬ সালে সেট করা ফ্রি লাগেজ ভাতা দ্বিগুণ করা। পাশাপাশি, তারা অগ্রাধিকার-খাতে ঋণের আওতায় বিমানবন্দরগুলির শ্রেণিবিভাগও দাবি করেছে।