৩৩৩ টাকা জমা করেই লাখপতি! গ্রাহকদের জন্য দারুণ স্কিম পোস্ট অফিসের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সময়ে থাকতে থাকতেই বিনিয়োগের কথা ভাবেন। যাতে জীবনের পরবর্তী সময়ে আর্থিক দিক থেকে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। যার ফলে বাজারে প্রচুর বিনিয়োগের ক্ষেত্র থাকলেও তাতে ঝুঁকির আশঙ্কাও থেকে যায়। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ভয় পান।

তবে, প্রত্যেকের কাছেই বিনিয়োগের জন্য পোস্ট অফিস নিঃসন্দেহে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিচ্ছে এই সংস্থা। পাশাপাশি, এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকির আশঙ্কাও থাকেনা। তাই, গ্রাহকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিনিয়োগ করেন এখানে।

বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা পোস্ট অফিসের এমন একটি স্কিমের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেখানে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাবেন বিনিয়োগকারীরা। শুধু তাই নয়, যে কেউই এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারেন। পোস্ট অফিসের সেভিংস স্কিমে প্রতিদিন মাত্র ৩৩৩ টাকা বিনিয়োগ করেই ম্যাচিউরিটির পর ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পেতে পারেন গ্রাহকেরা।

যার ফলে প্রতিদিনের স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেই এক্কেবারে লাখপতি হওয়ার সুযোগ থাকছে সকলের কাছে। আমরা সবাই জানি যে, পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলি দীর্ঘমেয়াদে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক সাহায্য করে। সেই রকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক স্কিম হল পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ RD।

এর সাহায্যে গ্রাহকেরা ৫.৮ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধার পাশাপাশি এই স্কিমে প্রতি মাসে ১০০ টাকার মতো সঞ্চয় করা শুরু করতে পারেন৷ উল্লেখ্য যে, পোস্ট অফিসের প্রায় সব সঞ্চয় প্রকল্পই একদম ঝুঁকিমুক্ত। রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও সেই সুবিধা উপলব্ধ থাকছে। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে কোনো বিনিয়োগকারী যদি প্রতিদিন ৩৩৩ টাকা জমা করেন অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা জমা করেন, তাহলে এক বছরে তাঁর মোট সঞ্চয় হবে ১.২০ লক্ষ টাকা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই অ্যাকাউন্টটি ১০ ​​বছর চালানোর পরে, মোট অর্থের পরিমাণ হবে ১২ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, এর উপর ১০ বছর যাবৎ মোট ৪,২৬,৪৭৬ টাকার সুদ পাওয়া যাবে। যার ফলে স্কিমের মেয়াদপূর্তিতে ১৬ লক্ষ টাকারও বেশি রিটার্ন আসবে।

post office news

যদিও, রেকারিং ডিপোজিটের মোট সময়কাল ৫ বছর। তবে কেউ চাইলেই এটি আরও ৫ বছরের জন্য বাড়াতে পারেন। তবে, এই স্কিমের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অবশ্যই একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, যদি কোনোভাবে কেউ এর কিস্তি দিতে ভুলে যান, তাহলে বিনিয়োগকারীদের প্রতি মাসে ১ শতাংশ পেনাল্টি দিতে হবে। শুধু তাই নয়, কেউ যদি পরপর ৪ টি কিস্তি দিতে না পারেন তাহলে, বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও, তারপরও গ্রাহকেরা চাইলে ফের তা ২ মাসের মধ্যে পুনরায় চালু করতে পারবেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর