বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের নতুন একটি উদ্যোগে পা রাখতে চলেছে চিন। জানা গিয়েছে, চিন ইতিমধ্যেই Mission Earth 2.0-র প্রস্তুতি শুরু করেছে। মূলত, তারা এখন এমন একটি গ্রহের সন্ধান করতে চলেছে যেখানে বায়ুমণ্ডল জীবনধারণের পক্ষে উপযুক্ত। বর্তমানে, আমরা শুধু আমাদের গ্রহেই প্রাণের অস্তিত্ব পেয়েছি। কিন্তু পৃথিবী ছাড়াও, আর অন্য কোনো গ্রহে এইরকম সম্ভাবনা আছে কিনা সেটাই খুঁজে দেখার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে চিন।
চিন নতুন পৃথিবীর সন্ধানে নিযুক্ত রয়েছে: জানা গিয়েছে, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স Earth 2.0 মিশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে। তারপরেই নতুন পৃথিবীর সন্ধানের জন্য স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে চিনের স্পেস এজেন্সি দাবি করেছে যে, তারা একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের সৌরজগতে পৃথিবীর মতো এক ডজন গ্রহকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। যে কারণে, এই মিশন সম্পর্কে চিনের কাছে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিনের নতুন মিশন: এমতাবস্থায়, চিন নিশ্চিত যে, তারা পৃথিবীর মত জীবনধারণের পক্ষে উপযুক্ত অন্যান্য গ্রহ শনাক্ত করেছে। যদিও নাসাও পৃথিবীর মতো ২৫০ টি গ্রহ শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে এবং নাসা দাবি করেছে যে তাদের মধ্যে ৫০ টি এমন গ্রহ রয়েছে যেখানে জীবনের অস্তিত্বও রয়েছে। কিন্তু ওই গ্রহগুলিতে পৌঁছতে যে কোনো উপগ্রহেরই হাজার হাজার বছর সময় লেগে যাবে। খবর অনুযায়ী, বিজ্ঞানী এবং স্পেস ইঞ্জিনিয়ারদের ৩০০ জনের একটি দল চিনের এই মিশনের জন্য নিযুক্ত রয়েছেন।
অন্য পৃথিবীর সন্ধান পেলেও পৌঁছনো যাবে না:উল্লেখ্য যে, চিন এবং নাসা যদি পৃথিবীর মত অন্য কোনো গ্রহের সন্ধান পায় এবং সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়েও যদি স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তবুও মানুষ সেখানে পৌঁছতে পারবে না। কারণ, পৃথিবীর মতো এই গ্রহগুলির দূরত্ব হল হাজার হাজার আলোকবর্ষ। অর্থাৎ, সেগুলিতে আলো পৌঁছতেই কয়েক হাজার বছর সময় লাগে।
তাই ছোটো রকেটের পক্ষে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। এমতাবস্থায়, চিন Earth 2.0 Satellite তৈরি করছে। যেটিতে ৭ টি বিশাল টেলিস্কোপ থাকবে। পাশাপাশি, সেগুলি মহাকাশে ১.২ মিলিয়ন নক্ষত্র এবং তাদের গ্রহগুলিকে পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়াও, যদি কোনো গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায় তবে সেটি সেখানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ সাধন করবে।