মেটানো হয়নি টাকা! এবার পাকিস্তানি বিমান বাজেয়াপ্ত করল মালয়েশিয়া, চরম অস্বস্তিতে সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খবরের শিরোনামে উঠে এল পাকিস্তান (Pakistan)। এমনিতেই বর্তমানে ওই দেশ চরম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে রয়েছে। তবে, এবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সঠিক সময়ে কথা না রাখার কারণে বড়সড় চাপের মুখে পড়ল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (Pakistan International Airlines, PIA)।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, PIA-কে ইজারা অর্থাৎ লিজ দেওয়া একটি বোয়িং বিমান বাজেয়াপ্ত করেছে মালয়েশিয়া। মূলত, গত মঙ্গলবার কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে পাকিস্তানের ওই বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি নামার পরেই সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয় মালয়েশিয়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে।

এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় চরম অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তানি সরকার। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমস্যার সমাধান করতে চাইছে ইসলামাবাদ। উল্লেখ্য যে, এর আগেও এই বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিকে ২০২১ সালে একই কারণে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

তখন বিমানটিতে ১৭৩ জন যাত্রী এবং কর্মী ছিলেন। যদিও, সেই সময়ে কূটনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে পাকিস্তান মালয়েশিয়াকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, বকেয়া টাকা শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। এমতাবস্থায়, আশ্বাস পেয়েই বিমানটিকে পাকিস্তানে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় মালয়েশিয়ার তরফে।

ফের করা হল বাজেয়াপ্ত: এদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানকে ওই বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৪০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও, তা এখনও পর্যন্ত মেটায়নি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। এমন পরিস্থিতিতে, মালয়েশিয়ার একটি আদালতের নির্দেশেই বিমানটিকে ফের বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

PIA 17e4cbfccf3 large

এমতাবস্থায়, PIA-এর মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ খানকে উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মালয়েশিয়ার একটি আদালত বিমানটিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, বিমানটিকে ছাড়িয়ে আনতে ওই এয়ারলাইন্স আইনি পথ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, ওই পরিমাণ অর্থ আগেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর