বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে মলদ্বীপ (Maldives)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতের (India) সাথে চলা বিতর্কের আবহেই কয়েকদিন আগে মলদ্বীপে খাদ্যদ্রব্য আমদানির কোটার ক্ষেত্রে অনুমোদন করেছিল ভারত। এদিকে, সম্প্রতি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) জানিয়েছেন যে , ওই দ্বীপরাষ্ট্রে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনার দ্বিতীয় ব্যাচ মলদ্বীপ ছেড়েছে। তবে এবার, দিল্লির কাছে নতুন একটি আবদার করেছে ওই দেশের সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ওই দেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। তিনি প্রথম থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের বিরোধিতা করে আসছেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। তবে, খাদ্য থেকে শুরু করে পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল মলদ্বীপ বিতর্কের মাঝেই নতুন একটি আবদার করায় বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ম্যালের তরফে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম “মলদ্বীভিয়ান রুফিয়া”-র মাধ্যমে মেটানোর আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির সঙ্গে আলোচনাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, মলদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রী মহামের সইদ জানিয়েছেন, ভারত থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭৮০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকে মলদ্বীপ। পাশাপাশি, চিন থেকে আমদানি করা হয় প্রায় ৭২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এমন পরিস্থিতিতে, এই বিপুল পরিমাণ আমদানির দাম মেটাতে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩৮ রান করেই অহংকারে ডুব! জিতেও নিজের দলকেই দুষলেন শ্রেয়স আইয়ার
জানিয়ে রাখি যে, মলদ্বীপ ভারত থেকে বেশ কিছু অত্যাবশ্যক খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে। যার জন্য নির্দিষ্ট কোটা রয়েছে। পাশাপাশি, এটির অনুমোদন দিয়ে থাকে দিল্লি। এদিকে, সম্প্রতি ইদের আগেই ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের জন্য ম্যালের তরফে খাদ্যপণ্যের আমদানি-রফতানির অনুমোদন চেয়ে দিল্লির দরবারে অনুরোধ জানানো হয়। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি মলদ্বীপে খাদ্যপণ্য রফতানির কোটাতে সবুজ সংকেত দেয়।
আরও পড়ুন: প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় ক্ষুদে ভক্তকে অমূল্য উপহার! ধোনির মানবিকতা মন জয় করল সবার
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে মলদ্বীপের অর্থনীতি কিছুটা ধুকতে শুরু করেছে। ঠিক এই আবহেই ডলারের তুলনায় মলদ্বীপের মুদ্রার দামেও পতন ঘটেছে। তাই, নিজেদের দেশের মুদ্রার দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে মুইজ্জু সরকার আমদানি হওয়া পণ্যের দাম মেটাতে মলদ্বীপের মুদ্রা ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর ফলে মলদ্বীপের ডলার রিজার্ভ বজায় থাকবে এবং এটি তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলতে সাহায্য করবে।