বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে রেল পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে রেলের (Indian Railways) তরফে। সেই রেশ বজায় রেখেই ইতিমধ্যেই দেশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। তবে, এবার এই সম্পর্কিত একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, আগামী এক বছরে টাটা স্টিল (Tata Steel) দেশের দ্রুততম এবং অত্যাধুনিক বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ২২ টি ট্রেন তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দুই বছরে রেল ২০০ টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন প্রস্তুত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
টাটা স্টিল এবং রেল একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে: এই প্রসঙ্গে সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে বন্দে ভারত ট্রেনের প্রথম স্লিপার সংস্করণ শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নির্মাণ কাজের গতি বাড়াতে ভারতীয় রেল এবং টাটা স্টিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিতে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাস এসি থেকে থ্রি টায়ার কোচের আসনগুলি এবার টাটা স্টিল প্রস্তুত করবে।
LHB কোচ তৈরির চুক্তি পেয়েছে টাটা স্টিল: পাশাপাশি, রেলের তরফে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের LHB কোচ তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছে টাটা স্টিলকে। এর আওতায় প্যানেল, জানালা ও রেলপথের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের অধীনে, ভারতীয় রেল বন্দে ভারত রেকের অংশ তৈরির জন্য টাটা স্টিলকে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়েছে। এই কাজটি ১২ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই সংস্থাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ২২ টি ট্রেনের জন্য সিট প্রদানের অর্ডারও পেয়েছে।
১৪৫ কোটি টাকার অর্ডার: জানিয়ে রাখি যে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিটিং সিস্টেমের জন্য ১৪৫ কোটি টাকার বাল্ক অর্ডার পাওয়ার পর টাটা স্টিলের কম্পোজিট ডিভিশন এই নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি ট্রেনে ১৬ টি কোচ সহ ২২ টি ট্রেন সেটের জন্য সম্পূর্ণ সিটিং সিস্টেম সরবরাহ করা হবে।
ডিজাইন করা হয়েছে সিট: এই প্রসঙ্গে টাটা স্টিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশীষ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এই ট্রেনের সিটগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যা ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে এবং বিমানের মতো যাত্রী সুবিধা রয়েছে।” এগুলি হল “ভারতে প্রথম” ধরণের যাত্রী সুবিধা। যা আগামী ১২ মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
বাড়বে টাটা স্টিলের অংশীদারিত্ব: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টাটা স্টিল ক্রমাগত রেলে তাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। পাশাপাশি রেলের সাথে সমন্বয়ের জন্য আধিকারিকদেরও পোস্টিং করা হয়েছে। পাশাপাশি, মুম্বাই-আমেদাবাদ করিডোরেও কাজ পেয়েছে টাটা স্টিল। এমতাবস্থায়, রেলের সাথে ব্যবসায়িক সমন্বয়ের জন্য টাটা মোটরসের ডেপুটি জিএম আরাধনা লাহিড়ীকে টাটা স্টিলের নিউ ম্যাটেরিয়ালস বিজনেস হিসেবে নিযুক্ত করেছে টাটা স্টিল। তিনি রেলের বিজনেস প্রোজেক্টের একজিকিউশন নিয়ন্ত্রণ করবেন।