বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমগ্ৰ দেশজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে বৈদ্যুতিক যানবহনের চাহিদা। মূলত, খরচ এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই গাড়িগুলি কিনছেন ক্রেতারা। এমনিতেই, সাম্প্রতিক সময়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এমতাবস্থায়, বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার পরিকল্পনা অবশ্যই অনেকটা খরচ কমিয়ে দিতে পারে। আর সেই কারণেই এই গাড়িগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নিত্য-নতুন গাড়িও বাজারে নিয়ে আসছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। এমনিতেই, ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ টি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে নিয়ে আসার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল দেশের অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টাটা মোটরস। সেই অনুযায়ী, টাটা মোটরসের অধীনস্থ সংস্থা টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি বা TPEML, Tata Avinya নামে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল এবার সকলের সামনে উপস্থাপিত করেছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এখন যখন পেট্রোল-ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল গাড়িগুলিকে চালাতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষের, ঠিক সেখানেই এই গাড়ি মাত্র আধঘন্টার চার্জে ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে অত্যন্ত সহজেই।
মূলত, “অভিন্ন” নামটি একটি সংস্কৃত শব্দ। জানা গিয়েছে যে, একটি সামুদ্রিক নৌকার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বৈদ্যুতিক গাড়ির অভিনব ডিজাইনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, ব্র্যান্ডের তৃতীয় প্রজন্মের আর্কিটেকচারের উপরে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই নমুনা মডেলটি। তবে, গাড়িটির ক্ষেত্রে SUV অর্থাৎ স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকেল এবং MPV অর্থাৎ মাল্টিপারপাস ভেহিকেলের বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই ডিজাইনটি বানানো হয়েছে।
এদিকে, Tata Avinya বৈদ্যুতিক গাড়িটির ব্যাটারি এবং মোটর সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই গাড়িটি কেবলমাত্র আধঘন্টার চার্জেই ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। এছাড়াও, ২০২৫ সালের মধ্যেই এই গাড়ির পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে।
এমতাবস্থায়, একনজরে দেখে নিন এই অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক গাড়ির কিছু আকর্ষণীয় ফিচার্স সম্পর্কে:
Tata Avinya গাড়িটির মূল আকর্ষণ হল Butterfly doors বা প্রজাপতির ন্যায় দরজা। এছাড়াও, গাড়িটিতে এলইডি টেল লাইটের পাশাপাশি বড় অ্যালয় হুইল এবং পেছনের দরজা পর্যন্ত বিস্তৃত এলইডি লাইট বার লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, গাড়িটির সামনে দু’টি সুবিশাল ডিআরএল রয়েছে। লোগোর আকারও উপস্থিত রয়েছে সেখানে।
এছাড়াও, এই বিলাসবহুল গাড়িটির অন্দরমহল ঠিক যেন একটি ফাইভ-স্টার হোটেলের রুমের মত করে বানানো হয়েছে। প্যানোরামিক সানরুফ, ফ্লোটিং ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ফ্ল্যাট বটম স্টিয়ারিং হুইল সহ ভেতরে ডুয়েল টোন বেজ এবং বাদামী রঙের ইন্টেরিয়ার থিমের পাশাপাশি ড্যাশবোর্ডের মাঝখানে সাউন্ড বারের মত একাধিক নজরকাড়া ফিচার্স দেখা গিয়েছে গাড়িটিতে। এমতাবস্থায়, গাড়িটির দাম সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো না হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে টাটার এই বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম থাকতে পারে ৩০ লক্ষ টাকার আশেপাশে।