বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। যার ফলে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এদিকে, এহেন দাম বৃদ্ধির জেরে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হন সাধারণ মানুষ। এমনিতেই আমাদের দেশে কয়েকদিন আগে সবজি থেকে শুরু করে মশলার দাম হঠাৎই লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এমনকি, টমেটোর দাম রীতিমতো পৌঁছে গিয়েছিল চরমে।
তবে, জিনিসপত্রের দাম যে শুধুমাত্র আমাদের দেশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটা কিন্তু নয়। বরং, আমাদের পড়শি দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে সেখানেও খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ডিমের দাম রীতিমতো নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। আর এই বিষয়টিই এখন উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেছে, বর্তমানে পটুয়াখালীতে এক কেজি চালের দামেও মিলছে না চারটি মুরগির ডিম। অর্থাৎ, সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দামও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই খুচরো বাজারে প্রতি হালি অর্থাৎ ৪ টি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। সুতরাং, সেখানে ১ পিস ডিমের দাম হল ১৪ টাকা।
আরও পড়ুন: বেকারদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ, কর্মসংস্থান করে দিচ্ছে SBI, এভাবে বসে বসে আয় করতে পারবেন মোটা টাকা
এদিকে, আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এহেন দাম বৃদ্ধির আবহেই সেখানে বাজার থেকে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম উধাও হয়ে গেছে। সোমবার পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট ও নতুন বাজার এলাকায় কোনো দোকানেই পাওয়া যায়নি হাঁস ও মুরগির ডিম। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী খোকন কুমার দে জানিয়েছেন, এখন বাজারে ডিমের সঙ্কট চলায় হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম নেই। এই কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০০ টাকা জমিয়ে মাসে পান ৫০ হাজার পেনশন! এই সরকারি স্কিমে বিনিয়োগ করে জীবন করুন চিন্তামুক্ত
পাশাপাশি, নিউমার্কেট বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, বাজারে ডিমের সঙ্কটের কারণে হঠাৎ করেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, তেমন কোনো মাছও এখন বাজারে নেই। তাই ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে, তিনি আশা করছেন যে, আগামী দু’চার দিনের মধ্যে ডিমের বাজার ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এক সপ্তাহ আগে ২ জোড়া ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ছিল ৪৫ টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানেই সেগুলি ১১ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায়, ডিমের উচ্চমূল্যের কারণে এখন শহরের অলিগলির দোকানে কিংবা যাঁরা ফেরি করে ডিম বিক্রি করতেন, তাঁরাও এখন আর বিক্রি করতে পাচ্ছেন না।