বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যখন সর্বত্রই মুদ্রাস্ফীতির রেশ পরিলক্ষিত হওয়ায় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক সেই সময়েই এবার নতুন উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যায় ফলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এমনিতেই আমাদের দেশে বিপুল হারে সোনা (Gold) কেনা-বেচা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশে সোনা আমদানি ছিল কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণে। যে কারণে সোনা আমদানি অনেক সময় ব্যয়বহুল হয়ে পড়ত। এদিকে, এর ফলে গয়না বিক্রেতাদের পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদেরও বাড়তি অর্থ গুণতে হত। তবে, এবার নেওয়া হচ্ছে নতুন পদক্ষেপ। যার ফলে দেশে সোনার দাম এক ধাক্কায় প্রায় ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত কমতে চলেছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।
দেশে প্রথম বুলিয়ন এক্সচেঞ্জ চালু হয়েছে: জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি দেশে প্রথম বুলিয়ন এক্সচেঞ্জ (Bullion Exchange) চালু হয়েছে। এই এক্সচেঞ্জে সরাসরি সোনা কিনতে পারা যায়। এছাড়াও, এই এক্সচেঞ্জের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল আপনি এখানে সোনা কেনার সাথে সাথেই এর ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। আর সেই কারণেই এই এক্সচেঞ্জ চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই, দেশের বেশ কিছু সংখ্যক স্বর্ণকার এর সদস্য হয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্বের বড় বড় সোনা বিক্রিকারী কোম্পানিগুলিও এই এক্সচেঞ্জের “মেম্বার” হচ্ছে।
জেনে নিন কিভাবে সস্তায় সোনা পাওয়া যেতে পারে: বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, যদি এই এক্সচেঞ্জ থেকে বছরে ১০০ টন সোনা কেনা হয়, সেক্ষেত্রে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪০০ কোটি টাকা) সাশ্রয় হবে। এমতাবস্থায়, এক কিলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি কিলোতে এই দাম প্রায় ৫০ ডলার (প্রায় ৪ হাজার টাকা) কমে আসতে পারে। মূলত, এটি একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান। সর্বোপরি, এই গোল্ড এক্সচেঞ্জের সুবাদে স্বচ্ছ লেনদেনের কারণে এই দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ মানুষ কিভাবে সস্তায় সোনা পাবেন: এখনও পর্যন্ত দেশে সোনার দাম নির্ধারণের কোনো খাঁটি উপায় ছিল না। এমতাবস্থায়, অনুমানের ভিত্তিতে এই দাম নির্ধারণ করা হত। তবে, গোল্ড এক্সচেঞ্জের কেনাকাটায় এবং সোনা ডেলিভারির রেট থেকে স্বর্ণকাররা কোন দামে সোনা পাচ্ছেন সেই বিষয়ে ধারণা পাবেন ক্রেতারা।
যার ফলে স্বর্ণকারদের সেই লাভের অংশ তাঁদের গ্রাহকদের কাছে দিতে হবে। মূলত, দামের পরিসংখ্যান সামনে আসায় স্বর্ণকাররা তাঁদের গ্রাহকদের ধরে রাখতে এই সুবিধা দিতে বাধ্য হবেন। শুধু তাই নয়, স্বর্ণকাররা যত সস্তায় সোনা পাবেন, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার থেকে তত কম খরচ হবে। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগে দেশে সোনার দাম সস্তা হলেই, আমদানির ক্ষেত্রে কম বৈদ্যুতিক মুদ্রার খরচ হবে।