বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষদের পকেটে ফের টান পড়তে চলেছে এবার। জানা গিয়েছে যে, আমূল দুধের দাম ফের একবার বাড়ানো হতে পারে। গত মঙ্গলবার সংস্থার আধিকারিকরা সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। মূলত, জ্বালানির দাম, পণ্য পরিবহণ, কাঁচা মাল এবং প্যাকেজিংয়ের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণেই দুধের দাম বাড়াতে পারে আমূল।
তবে লিটার পিছু কত টাকা করে দাম বাড়বে সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি সংস্থার তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসেই অৰ্থাৎ, ১ মার্চে প্রতি লিটারে দুধের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছিল আমূল। এবার ফের এপ্রিলে দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন কর্মকর্তারা।
ঠিক কি বলা হয়েছে:
নতুন করে দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমূলের এমডি আরএস সোধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম কমানো যাবে না বরং তা বাড়ানো হবে। এদিকে, বিগত দুই বছরে আমূল দুধের দাম ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে দুধের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ সোধির কথা থেকে স্পষ্ট যে এই সংস্থা দুধের দাম বাড়তে পারে আগামী সময়ে।
কৃষকদের জন্য সুবিধা:
সোধি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর শিল্পে মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগের কারণ নয় কারণ এটি কৃষকদের লাভের পরিমান বাড়িয়েছে। তিনি বলেন “আমূল এবং দুগ্ধ খাতের প্রবৃদ্ধি অন্যদের তুলনায় বা ইনপুট খরচ বৃদ্ধির তুলনায় খুবই সীমিত। অন্যদিকে বিদ্যুতের খরচ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বেড়েছে, যা কোল্ড স্টোরেজের খরচকে প্রভাবিত করে। লজিস্টিক খরচও একইভাবে বেড়েছে এবং প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। এসব চাপের কারণেই মার্চ মাসে দুধের দাম বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা।”
সোধি বলেন, মহামারীর সময়ে দুধ থেকে কৃষকদের আয় প্রতি লিটারে ৪ টাকা বেড়েছে। যদিও, নানা সমস্যার কারণে কোম্পানির মুনাফা কমেছে। কিন্তু লাভ করাই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য নয় বলে আমূল এই ধরনের চাপে বিচলিত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমুলের অর্জিত এক টাকার মধ্যে ৮৫ পয়সা যায় কৃষকদের কাছে। অর্থাৎ আমূলের লাভের ক্ষেত্রে কৃষকদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।