বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের অনেক নেতা/নেত্রীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এমনকি এখনও আরও কয়েকজন যাবেন যাবেনও করছেন। শুধুমাত্র বিজেপি দলবদলের রাজনীতিতে কিছুটা রাশ টেনেছে বলেই এখনও পর্যন্ত অনেক তৃণমূল নেতা/নেত্রীরা দলে পড়ে আছেন। আর এরই মধ্যে আরেকটি গুঞ্জন কানে আসছে যে, তৃণমূলের এক হেভিওয়েট তারকা সাংসদ ৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন। সেদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা ছড়াচ্ছে।
এর আগেও তৃণমূলের এই সাংসদ একবার বেসুরো হয়েছিলেন। এমনকি তিনি দিল্লী যাওয়ারও পরিকল্পনা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের তৎপরতায় তিনি সেই যাত্রায় দলেই রয়ে যান। হ্যাঁ আমরা কথা বলছি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। এর আগেও তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
তবে সেবার কুণাল ঘোষ আর তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিটিং করে তিনি দলেই থেকে যান। এবার ওনাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আবারও গুঞ্জন উঠেছে। শোনা যাচ্ছে তিনি, আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে ওনার বিজেপিতে যোগ নিয়ে এখনও কোনও সঠিক খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই জল্পনা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপি যোগ নিয়ে অনেক জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষে তিনি তৃণমূলেই থেকে যান এবং আসন্ন বিধানসভায় তৃণমূলের জয়ের দাবিও করেন। কিন্তু আচমকাই গতকাল তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেই ক্ষেত্রে শতাব্দী রায়ও যে বিজেপিতে যোগ দেবেন না সেই জল্পনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এরজন্য অপেক্ষা করতে হবে আর কটা দিন।
এর আগে গতকাল খবর ছড়িয়েছিল যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু আজ সকালেই তিনি পরিস্কার বলে দিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতিতে আসছেন না, আর ব্রিগেডেও যাচ্ছেন না। এখন দেখার বিষয় তৃণমূলের তারকা সাংসদ এরকমই কিছু মন্তব্য করেন নাকি।