বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার আইপিএলের শুরু থেকেই ব্যর্থতা একেবারে মুড়ে ধরেছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। আর এই ব্যর্থতার চাদর ছেড়ে বেরোনোর জন্য মরশুমের মাঝপথেই অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন উইলিয়ামসনকে। তবে ওয়ার্নারই প্রথম নয় এর আগেও আইপিএলে এমন ঘটনা ঘটেছে অর্থাৎ মরশুমের মাঝপথে এসে অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি। আসুন একনজরে সেই তালিকা দেখে নেওয়া যাক।
ডেভিড ওয়ার্নার:
2015 সাল থেকে হায়দ্রাবাদের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল ওয়ার্নারের কাঁধে। তার পরের বছর অর্থাৎ 2016 সালেই দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করে ওয়ার্নার। অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট হাতেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। তিনবার কমলা টুপি জিতেছেন ওয়ার্নার। তবে এইবার নিজের ব্যাটে রানের খরার পাশাপাশি দল খারাপ পারফরম্যান্স করছে। যার জন্য মরশুমের মাঝেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে হবে ওয়ার্নারকে।
আজিঙ্কা রাহানে:
2019 সালে রাজস্থান রয়েলস দলের অধিনায়ক হন রাহানে কিন্তু আট ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতেছিল রাহানের দল। তারপরই দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য রাহানেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে স্মিথকে অধিনায়ক করে রাজস্থান রয়েলস।
দীনেশ কার্তিক:
গত মরশুমে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের সমস্ত দায় অধিনায়কের কাঁধে তুলে দিয়ে মরশুমের মাঝপথেই অধিনায়ক পরিবর্তন করে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। দিনেশ কার্তিক এর পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয় ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে।
শিখর ধাওয়ান:
শিখর ধাওয়ানকে অধিনায়ক করেছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কিন্তু অধিনায়কত্বের চাপে ধাওয়ানের খেলা আরও খারাপ হয়ে যায় এবং দল হারতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই অধিনায়ক পরিবর্তন করে ড্যারেন সামিকে অধিনায়ক করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
ডেভিড মিলার:
2018 সালে তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের অধিনায়ক করা হয় ডেভিড মিলারকে কিন্তু দলের ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে মিলারকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় মুরলী বিজয়কে।