বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাইরে থেকে ক্রিকেটারদের জীবন গ্ল্যামারাস এবং আকর্ষণীয় মনে হলেও ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে পারেন না অনেকেই। অনেকেই যেমন ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে আগ্রহী, তেমনি আগ্রহী তাদের ব্যক্তিগত ভাবে জানতেও। আজ এমন ১১ জন ক্রিকেটারদের কথা বলব, যারা কোনো না কোনো সময় ছেড়ে গিয়েছেন তাদের প্রথম বৈবাহিক সম্পর্ককে।
শোয়েব মালিকঃ
পাকিস্তানি ক্রিকেট ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং অফ স্পিনার হিসেবে শোয়েব একটি পরিচিত নাম। তবে ভারতের কাছে তাঁর আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি ভারতের জামাই অর্থাৎ বিখ্যাত টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার স্বামী। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না সানিয়াকে বিবাহ করার আগে ২০০২ সালে তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দাকীকে ডিভোর্স দেন তিনি।
সাইমন ডুলঃ
নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ক্রিকেট জীবনে রীতিমতো ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন বহু ব্যাটসম্যানের। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রথম বিবাহ তেমন সুখের হয়নি। যদিও প্রথম পক্ষের দুই সন্তানকে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও দেখাশোনা করেন দুজনেই। গতবছর লিয়ানা হারবার্ট নামে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সাইমন।
মহম্মদ আজহারউদ্দিনঃ
একটা সময় ভারতের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ব্যক্তিগত জীবনও রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সংবাদমাধ্যমে। ১৯৯৬ সালে অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করার জন্য তার প্রথম স্ত্রী নওরিনের সঙ্গী বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন তিনি।
মহম্মদ শামিঃ
সাম্প্রতিককালের যেসব ক্রিকেটে ব্যক্তিগত জীবন সবথেকে চর্চিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে তার মধ্যে মহম্মদ শামি অন্যতম। স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন মোটেই সুখের হয়নি তার। যার জেরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাসিন ঘরোয়া হিংসার মামলাও এনেছেন এই ক্রিকেটারের নামে।
দীনেশ কার্তিকঃ
ভারতের অন্যতম চর্চিত উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক ২০১২ সালে তার প্রথম স্ত্রী নীতিকা ভানজ্রার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। অভিযোগ ছিল কার্তিকের সতীর্থ মুরলী বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নীতিকার। পরে অবশ্য দীপিকা পল্লিকাল নামক এক মহিলাকে বিবাহ করুন কার্তিক।
ব্রেট লিঃ
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার ব্রেট লি যে কতজনের ত্রাস এবং একইসঙ্গে কতজনের প্রথম ক্রাশ ছিলেন তার হিসেব নেই। তবে লিয়ের প্রথম বৈবাহিক জীবনও সুখের হয়নি। ২০০৬ সালে এলিজাবেথ ক্যাম্পের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র দু’বছরের মধ্যেই তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য ২০১৪ সালে লানা অ্যান্ডারসনকে বিবাহ করেন তিনি।
বিনোদ কাম্বলিঃ
বাঁহাতি অ্যাটাকিং ব্যাটসম্যান হিসেবে বিনোদ কাম্বলির নাম কমবেশি সকলেই জানেন। ১৯৯৮ সালে বিনোদ তার ছোটবেলার বান্ধবী নভেলা লুইসকে বিবাহ করেছিলেন ঠিকই তবে সুখের হয়নি সেই জীবন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
জন্টি রোডসঃ
ফিল্ডিং নিয়ে কথা উঠলে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার জন্টি রোডসের নাম সবার উপরে উঠে আসে। কিন্তু জন্টির ব্যক্তিগত জীবনেও রয়েছে একটি মারাত্মক দুঃখজনক ঘটনা। প্রথম বিবাহের ১৯ বছর পর স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয় তার। পরে অবশ্য আবার বিবাহ করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
সনৎ জয়সূর্যঃ
শ্রীলংকার এই ক্রিকেটারের বিধ্বংসী ব্যাটিং আজও লেগে আছে অনেকের চোখেই। তবে এই ক্রিকেটারের জীবনেও রয়েছে দুটি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। ১৯৯৮ সালে সুমুদু করুণানায়েকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সনৎ। কিন্তু মাত্র এক বছর টিকেছিল সেই বিবাহ। পরে সান্দ্রা নামে আরেক মহিলাকে বিবাহ করেন তিনি। কিন্তু ২০১২ সালে সান্দ্রার সঙ্গেও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার।
জাভাগাল শ্রীনাথঃ
প্রাক্তন ভারতীয় পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ কপিল দেবের পর ফাস্ট বোলার হিসেবে রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছেন বারবার। তবে প্রথম বিবাহ সুখের হয়নি এই পেসারেরও। প্রথম পর্যায়ে শ্রীনাথ জ্যোৎস্না নামের এক মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ব্যক্তিগত কারনে ডিভোর্স হওয়ার পর ২০০৮ সালে সাংবাদিক মাধবী পত্রাবলীকে বিয়ে করেন তিনি।
মাইকেল ক্লার্কঃ
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও সুখী হতে পারেননি তার বিবাহিত জীবনে। স্ত্রী কেলি ক্লার্কের সাত বছরের বিবাহিত জীবনের পর ডিভোর্স হয় দুজনের। যদিও বিবাহবিচ্ছেদ করলেও তাদের একমাত্র ছেলের ভার সমানভাবে তুলে নিয়েছেন দুজনেই।