বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত। আর সেই ক্রমেই এবার বাঁকুড়ায় তৃণমূলে বড়সড় পতন দেখা দিল। বিজেপির সুত্রের দাবি অনুযায়ী, শুক্রবার বাঁকুড়ার সোনামুখী পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সমেত ১ হাজার জন্য সংখ্যালঘু নেতা-কর্মী গতকাল গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থি তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন।
বিজেপির দাবি অনুযায়ী, পিয়ারবেড়া গ্রামে বিজেপি দ্বারা একটি যোগদান মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এই যোগদান মেলায় বিজেপিতে যোগ দেন গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাইদুল, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী মাজি। বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা জানান, বিগত ১০ বছরে গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি। বারবার অভিযোগ করা স্বত্বেও কাজ হচ্ছিল না। তাই শেষে তাঁরা বাধ্য হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।
বিষ্ণুপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থি বলেন, আজকের এই যোগদান মেলার ফলে সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় বিজেপির শক্তি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপি এই কেন্দ্রে নিশ্চিত জয়লাভ করবে। যদিও বিজেপির সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছে, বিজেপি ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আমাদের দল থেকে কেউ বিজেপিতে যোগ দেয়নি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ সাহা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ওঁরা বলছে এক হাজার জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। ওঁরা যাদের নাম বলছে তাঁরা কেউই সোনামুখী ব্লকের না। তিনি বলেন, রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছে। তাঁরা কোনওমতেই দাঙ্গাবাজ বিজেপির হাত ধরবে না। ওদের সমস্ত দাবি ভুয়ো তৃণমূল ছেড়ে কেউই বিজেপিতে যোগ দেয়নি।