বাংলাহান্ট ডেস্ক : তীব্র গরমের মধ্যেই বাঙালি স্বাগত জানিয়েছে নতুন বছরকে। শুরু হয়ে গেছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। তবে নতুন বছর শুরু হতে আমরা শুরু করে দিয়েছি আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। এমনিতে বাংলায় সাধারণত বছরে দুবার দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। একটি শরৎকালে শারদীয়া দুর্গাপুজো, অন্যটি বসন্তকালে বাসন্তী পুজো।
মনে করা হয় শ্রীরাম চন্দ্র শরৎকালে এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। তবে পণ্ডিতরা বসন্তকালে হওয়া বাসন্তী পুজোকেই প্রধান দুর্গাপুজো হিসেবে ধরে থাকেন।পঞ্জিকা মতে ১৪৩১ বঙ্গাব্দে সেই দুর্গাপুজো পড়েছে ৩ বার। এই বছর বাসন্তী পুজোর তিথি দুবার পড়েছে। বাসন্তী পুজো শুরু হয়েছে পয়লা বৈশাখ থেকে।
আরোও পড়ুন : ছিল না কোন কোচিং , নিজে পড়েই UPSC’তে তাক লাগানো রেজাল্ট ব্রততীর! খুশির জোয়ার অশোকনগরে
১৪৩১ বঙ্গাব্দ পড়ার সাথে সাথে বাসন্তী পুজো শুরু হলেও, এই পুজো হওয়ার কথা ছিল ১৪৩০ বঙ্গাব্দে। মল মাস পড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় এক মাস বাসন্তী পুজোর তিথি পিছিয়ে যায়। তাই ১৪৩০ সালের বাসন্তী পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৪৩১ সালের শুরুতে। এরপর আবার বাসন্তী পুজো হবে ৪ঠা এপ্রিল। অন্যদিকে, শরৎকালে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গাপুজো বা শারদ উৎসব।
২৩ আশ্বিন থেকে শারদীয়া দুর্গাপুজো আরম্ভ হবে। সব মিলিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দে মোট তিনবার বাঙালি আরাধনা করবে দেবী দুর্গাকে। বসন্তকালের দুর্গাপুজোকে শাস্ত্রমতে প্রধান দুর্গাপুজো ধরা হলেও, বাঙালির কাছে শারদীয়া দুর্গাপুজোর প্রাধান্য আলাদা। শারদীয়া দুর্গোৎসবকেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে বিবেচিত করা হয়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে শারদীয়া উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই।